16. পবিত্র আত্মাও নিজে আমাদের অন্তরে এই সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, আমরা ঈশ্বরের সন্তান।
17. আমরা যদি সন্তানই হয়ে থাকি তবে ঈশ্বর তাঁর সন্তানদের যা দেবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন আমরা তা পাব। খ্রীষ্টই ঈশ্বরের কাছ থেকে তা পাবেন আর আমরাও তাঁর সংগে তা পাব, কারণ আমরা যদি খ্রীষ্টের সংগে কষ্টভোগ করি তবে তাঁর সংগে মহিমারও ভাগী হব।
18. আমি জানি, আমরা যে মহিমা পরে পাব তার তুলনায় আমাদের এই জীবনের কষ্টভোগ কিছুই নয়।
19. ঈশ্বরের সন্তানেরা কখন সেই মহিমায় প্রকাশিত হবেন তার জন্য সমস্ত সৃষ্টি আগ্রহের সংগে অপেক্ষা করে আছে,
20. কারণ সৃষ্টির উদ্দেশ্যটাই বিফল হয়ে গেছে। অবশ্য নিজের ইচ্ছায় তা হয় নি, ঈশ্বরই তাঁকে বিফলতার হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। তবে তার সংগে সংগে এই আশ্বাসও দিয়েছেন যে,
21. ধ্বংসের বাঁধন থেকে মুক্ত হয়ে এই সৃষ্টি একদিন ঈশ্বরের সন্তানদের গৌরবময় স্বাধীনতার ভাগী হতে পারবে।
22. আমরা জানি যে, গোটা সৃষ্টিটাই যেন এক ভীষণ প্রসব-বেদনায় এখনও কাতরাচ্ছে।
23. কেবল তা-ই নয়, কিন্তু যে মহিমা আমরা পরে পাব তার প্রথম ফল হিসাবে পবিত্র আত্মাকে পেয়ে আমরা নিজেরাও অন্তরে কাতরাচ্ছি। আর সেই সংগে সেই দিনের জন্য অপেক্ষা করে আছি যখন ঈশ্বরের সন্তান হিসাবে আমাদের প্রকাশ করা হবে, অর্থাৎ ধ্বংসের হাত থেকে আমাদের দেহকে মুক্ত করা হবে।
24. পাপ থেকে উদ্ধার পেয়ে আমরা এই আশাই পেয়েছি। আমরা যার জন্য আশা করে আছি যদি তা পাওয়া হয়ে যায় তবে তো সেই আশা আর আশাই রইল না। যা পাওয়া হয়ে গেছে, তার জন্য কে আশা করে থাকে?
25. কিন্তু যা পাওয়া হয় নি তার জন্য যদি আমাদের আশা থাকে তবে তার জন্য আমরা ধৈর্য ধরে অপেক্ষাও করি।
26. এছাড়া আমাদের দুর্বলতায় পবিত্র আত্মা আমাদের সাহায্য করেন। কি বলে প্রার্থনা করা উচিত তা আমরা জানি না, কিন্তু যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না সেই রকম আকুলতার সংগে পবিত্র আত্মা নিজেই আমাদের হয়ে অনুরোধ করেন।
27. যিনি মানুষের অন্তর খুঁজে দেখেন তিনি পবিত্র আত্মার মনের কথাও জানেন, কারণ পবিত্র আত্মা ঈশ্বরের ইচ্ছামতই ঈশ্বরের লোকদের জন্য অনুরোধ করেন।
28. আমরা জানি যারা ঈশ্বরকে ভালবাসে, অর্থাৎ ঈশ্বর নিজের উদ্দেশ্যমত যাদের ডেকেছেন তাদের মংগলের জন্য সব কিছুই একসংগে কাজ করে যাচ্ছে।
29. ঈশ্বর যাদের আগেই বাছাই করেছিলেন তাদের তিনি তাঁর পুত্রের মত হবার জন্য আগেই ঠিক করেও রেখেছিলেন, যেন সেই পুত্র অনেক ভাইদের মধ্যে প্রধান হন।
30. যাদের তিনি আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন তাদের তিনি ডাকও দিলেন; যাদের ডাক দিলেন তাদের তিনি নির্দোষ বলে গ্রহণও করলেন; যাদের নির্দোষ বলে গ্রহণ করলেন তাদের তিনি নিজের মহিমাও দান করলেন।
31. তাহলে এই সব ব্যাপারে আমরা কি বলব? ঈশ্বর যখন আমাদের পক্ষে আছেন তখন আমাদের ক্ষতি করবার কে আছে?
32. ঈশ্বর নিজের পুত্রকে পর্যন্ত রেহাই দিলেন না বরং আমাদের সকলের জন্য তাঁকে মৃত্যুর হাতে তুলে দিলেন। তাহলে তিনি কি পুত্রের সংগে আর সব কিছুও আমাদের দান করবেন না?