4. আর সেইজন্য সেই বাপ্তিস্মের দ্বারা খ্রীষ্টের সংগে মরে আমাদের কবরও হয়েছে, যেন পিতা ঈশ্বর তাঁর মহাশক্তি দ্বারা যেমন খ্রীষ্টকে মৃত্যু থেকে জীবিত করেছিলেন তেমনি আমরাও যেন নতুন জীবনের পথে চলতে পারি।
5. খ্রীষ্টের সংগে মরে যখন তাঁর সংগে আমরা যুক্ত হয়েছি তখন তিনি যেমন মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন, ঠিক তেমনি করে আমরা তাঁর সংগে জীবিতও হব।
6. আমরা জানি যে, আমাদের পাপ-স্বভাবকে অকেজো করবার জন্যই আমাদের পুরানো ‘আমি’কে খ্রীষ্টের সংগে ক্রুশে দেওয়া হয়েছে যেন পাপের দাস হয়ে আর আমাদের থাকতে না হয়;
7. কারণ যে মরেছে সে পাপের হাত থেকে ছাড়া পেয়েছে।
8. আমরা যখন খ্রীষ্টের সংগে মরেছি তখন বিশ্বাস করি যে, তাঁর সংগে জীবিতও থাকব।
9. আমরা জানি খ্রীষ্টকে মৃত্যু থেকে জীবিত করা হয়েছিল বলে তিনি আর কখনও মরবেন না, অর্থাৎ তাঁর উপরে মৃৃত্যুর আর কোন হাত নেই।
10. তিনি যখন মরলেন তখন পাপের দাবি-দাওয়ার কাছেও মরলেন; তাঁর উপর পাপের আর কোন দাবি-দাওয়া রইল না। আর এখন তিনি জীবিত হয়ে ঈশ্বরের জন্য বেঁচে আছেন।
11. ঠিক সেইভাবে এই কথার উপর নির্ভর কোরো যে, খ্রীষ্ট যীশুর সংগে যুক্ত হয়েছ বলে পাপের দাবি-দাওয়ার কাছে তোমরাও মরেছ, আর এখন ঈশ্বরের জন্য তোমরাও বেঁচে আছ।
12. এইজন্য তোমাদের এই মৃত্যুর অধীন দেহের উপর পাপকে আর রাজত্ব করতে দিয়ো না। যদি দাও তবে তোমাদের দেহের মন্দ ইচ্ছার অধীনেই তোমরা চলতে থাকবে।
13. দেহের কোন অংশকে অন্যায় কাজ করবার হাতিয়ার হিসাবে পাপের হাতে তুলে দিয়ো না। মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে ওঠা লোক হিসাবে তোমরা বরং ঈশ্বরের হাতে নিজেদের তুলে দাও এবং ন্যায় কাজ করবার হাতিয়ার হিসাবে তোমাদের সম্পূর্ণ দেহকেই ঈশ্বরকে দিয়ে দাও।
14. তোমরা তো পাপের দাস নও, কারণ তোমরা ঈশ্বরের দয়ার অধীন, আইন- কানুনের অধীন নও।
15. কিন্তু আইন-কানুনের অধীনে না থেকে দয়ার অধীন হয়েছি বলে কি আমরা পাপ করব? নিশ্চয় না।
16. তোমরা কি জান না যে, দাসের মত যখন তোমরা কারও হাতে নিজেদের তুলে দাও এবং তার আদেশ পালন করতে থাক তখন তোমরা আসলে তার দাসই হয়ে পড়? সেইভাবে হয় তোমরা পাপের দাস হয়ে মরবে, নয় ঈশ্বরের দাস হয়ে ন্যায় কাজ করবে।
17. কিন্তু ঈশ্বরের ধন্যবাদ হোক, কারণ যদিও তোমরা পাপের দাস ছিলে তবুও যে শিক্ষা তোমাদের দেওয়া হয়েছে সমস্ত অন্তর দিয়ে তোমরা তার বাধ্য হয়েছ।