11. ঠিক সেইভাবে এই কথার উপর নির্ভর কোরো যে, খ্রীষ্ট যীশুর সংগে যুক্ত হয়েছ বলে পাপের দাবি-দাওয়ার কাছে তোমরাও মরেছ, আর এখন ঈশ্বরের জন্য তোমরাও বেঁচে আছ।
12. এইজন্য তোমাদের এই মৃত্যুর অধীন দেহের উপর পাপকে আর রাজত্ব করতে দিয়ো না। যদি দাও তবে তোমাদের দেহের মন্দ ইচ্ছার অধীনেই তোমরা চলতে থাকবে।
13. দেহের কোন অংশকে অন্যায় কাজ করবার হাতিয়ার হিসাবে পাপের হাতে তুলে দিয়ো না। মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে ওঠা লোক হিসাবে তোমরা বরং ঈশ্বরের হাতে নিজেদের তুলে দাও এবং ন্যায় কাজ করবার হাতিয়ার হিসাবে তোমাদের সম্পূর্ণ দেহকেই ঈশ্বরকে দিয়ে দাও।
14. তোমরা তো পাপের দাস নও, কারণ তোমরা ঈশ্বরের দয়ার অধীন, আইন- কানুনের অধীন নও।
15. কিন্তু আইন-কানুনের অধীনে না থেকে দয়ার অধীন হয়েছি বলে কি আমরা পাপ করব? নিশ্চয় না।
16. তোমরা কি জান না যে, দাসের মত যখন তোমরা কারও হাতে নিজেদের তুলে দাও এবং তার আদেশ পালন করতে থাক তখন তোমরা আসলে তার দাসই হয়ে পড়? সেইভাবে হয় তোমরা পাপের দাস হয়ে মরবে, নয় ঈশ্বরের দাস হয়ে ন্যায় কাজ করবে।
17. কিন্তু ঈশ্বরের ধন্যবাদ হোক, কারণ যদিও তোমরা পাপের দাস ছিলে তবুও যে শিক্ষা তোমাদের দেওয়া হয়েছে সমস্ত অন্তর দিয়ে তোমরা তার বাধ্য হয়েছ।
18. পাপের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে তোমরা তো ন্যায়ের দাস হয়েছ।
19. মানুষের দুর্বলতার জন্য আমি কথাগুলো মানুষ যেভাবে বুঝবে সেইভাবে বলছি। আগে তোমরা যেমন আরও বেশী করে অন্যায় কাজ করবার জন্য নিজেদের দেহকে অপবিত্রতার ও অন্যায়ের দাস করে তুলেছিলে, ঠিক সেইভাবে এখন পবিত্রতায় বেড়ে উঠবার জন্য তোমাদের দেহকে ন্যায় কাজের দাস করে তোলো।
20. যখন তোমরা পাপের দাস ছিলে তখন ন্যায়ের দাস ছিলে না।
21. আগেকার যে সব কাজের কথা ভেবে এখন তোমরা লজ্জা পাও সেই সব কাজ থেকে তোমাদের কি লাভ হত? তার শেষ ফল হল মৃত্যু।
22. কিন্তু এখন তোমরা পাপের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে ঈশ্বরের দাস হয়েছ। তাতে লাভ হল এই যে, তোমরা পবিত্রতায় বেড়ে উঠছ, আর তার শেষ ফল হল অনন্ত জীবন।
23. পাপ যে বেতন দেয় তা মৃত্যু, কিন্তু ঈশ্বর যা দান করেন তা আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুর মধ্য দিয়ে অনন্ত জীবন।