2. কাজের জন্যই যদি অব্রাহামকে নির্দোষ বলে গ্রহণ করা হয়ে থাকে তবে তো তাঁর গর্ব করবার কিছু আছেই। কিন্তু ঈশ্বরের সামনে তাঁর গর্ব করবার কিছুই নেই।
3. পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, “অব্রাহাম ঈশ্বরের কথা বিশ্বাস করলেন আর সেইজন্য ঈশ্বর তাঁকে নির্দোষ বলে গ্রহণ করলেন।”
4. কাজ করে যে বেতন পাওয়া যায় তা দান নয়, পাওনা।
5. কিন্তু যে নিজের চেষ্টার উপর নির্ভর না করে কেবল ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস করে ঈশ্বর তার সেই বিশ্বাসের জন্য তাকে নির্দোষ বলে ধরেন, কারণ তিনিই পাপীকে নির্দোষ বলে গ্রহণ করতে পারেন।
6. দায়ূদও সেই লোককে ধন্য বলেছেন যাকে ঈশ্বর কোন কাজ ছাড়াই নির্দোষ বলে ধরেছেন। দায়ূদ বলেছেন,
7. ধন্য সেই লোকেরা, যাদের ঈশ্বরের প্রতি বিদ্রোহ ক্ষমা করা হয়েছে,যাদের পাপ ঢাকা দেওয়া হয়েছে।
8. ধন্য সেই লোক, যার অন্যায় সদাপ্রভু ক্ষমা করেছেন।
9. এখানে কি কেবল তাদেরই ধন্য বলা হয়েছে যাদের সুন্নত করানো হয়েছে? সুন্নত-না-করানো লোকদেরও কি বলা হয় নি? হ্যাঁ, তাদেরও ধন্য বলা হয়েছে, কারণ আমরা বলছি, “অব্রাহামের বিশ্বাসের জন্য তাঁকে নির্দোষ বলে ধরা হয়েছিল।”
10. কোন্ অবস্থায় ধরা হয়েছিল? সুন্নত করাবার আগে, না পরে? সুন্নত করাবার আগেই ধরা হয়েছিল, পরে নয়।
11. সুন্নত-না-করানো অবস্থায় বিশ্বাসের জন্যই যে ঈশ্বর তাঁকে নির্দোষ বলে ধরেছিলেন তাঁর সুন্নত করানোটা ছিল তারই প্রমাণ এবং চিহ্ন। তাহলে দেখা যাচ্ছে, সুন্নত করানো না হলেও কেবল বিশ্বাসের জন্যই যাদের নির্দোষ বলে গ্রহণ করা হয়, অব্রাহাম তাদের সকলের পিতা।
12. এছাড়া, সুন্নত করাবার আগে অব্রাহাম যেভাবে বিশ্বাসের পথে চলতেন, যে সব সুন্নত করানো লোক সেইভাবে চলে অব্রাহাম তাদেরও পিতা।
13. অব্রাহাম ও তাঁর বংশধরদের কাছে ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, এই জগৎ অব্রাহামেরই হবে। আইন-কানুন পালন করবার ফলে এই প্রতিজ্ঞা তাঁর কাছে করা হয় নি, কিন্তু তাঁর বিশ্বাসের মধ্য দিয়েই তাঁকে নির্দোষ বলে গ্রহণ করা হয়েছিল আর সেইজন্যই সেই প্রতিজ্ঞা করা হয়েছিল।