15. কারণ আইন-কানুন ঈশ্বরের শাস্তিকে ডেকে আনে। আর সত্যি বলতে কি, যেখানে আইন-কানুন নেই সেখানে আইন-কানুন অমান্য করবার প্রশ্নও নেই।
16. সেইজন্য মানুষের বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে এই প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করা হয়, যেন এটা ঈশ্বরের দয়ার দান হতে পারে। আর তাই অব্রাহামের বংশধরদের সকলের জন্যই এই প্রতিজ্ঞা নিশ্চয়ই পূর্ণ হবে। আইন-কানুনের অধীন লোকদের জন্যই যে কেবল এই প্রতিজ্ঞা পূর্ণ হবে তা নয়, যে সব লোক অব্রাহামের মত একই বিশ্বাসে বিশ্বাসী তাদের জন্যও নিশ্চয়ই এই প্রতিজ্ঞা পূর্ণ হবে।
17. পবিত্র শাস্ত্রে যেমন লেখা আছে, “আমি তোমাকে অনেকগুলো জাতির আদিপিতা করে রেখেছি,” সেই অনুসারে ঈশ্বরের চোখে অব্রাহাম আমাদের সকলেরই পিতা। যিনি মৃতকে জীবন দেন এবং যা নেই তা আছে বলে ঘোষণা করেন সেই ঈশ্বরকে অব্রাহাম বিশ্বাস করেছিলেন।
18. যখন পিতা হবার কোন আশাই ছিল না তখনও অব্রাহাম ঈশ্বরের উপর আশা রেখে বিশ্বাস করেছিলেন। ঈশ্বর তাঁকে বলেছিলেন, “তোমার বংশধরেরা আকাশের তারার মত অসংখ্য হবে।” আর সেই কথামতই অব্রাহাম অনেক জাতির পিতা হয়েছিলেন।
19. যদিও প্রায় একশো বছরের বুড়ো অব্রাহাম বুঝতে পেরেছিলেন যে, তাঁর দেহ অকেজো হয়ে গেছে আর সারারও সন্তান হবার বয়স আর নেই, তবুও অব্রাহামের বিশ্বাস দুর্বল ছিল না।
20. ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা সম্বন্ধে তাঁর মনে কখনও কোন সন্দেহ আসে নি, বরং তিনি বিশ্বাসে আরও বলবান হয়ে উঠে ঈশ্বরের গৌরব করতেন।
21. অব্রাহাম সম্পূর্ণভাবে এই বিশ্বাস করতেন যে, ঈশ্বর যা প্রতিজ্ঞা করেছেন তা করবার ক্ষমতাও তাঁর আছে।
22. এইজন্যই অব্রাহামের বিশ্বাসের দরুন তাঁকে নির্দোষ বলে ধরা হয়েছিল।
23. “নির্দোষ বলে ধরা হয়েছিল,” এই কথাটা কেবল অব্রাহামকেই লক্ষ্য করে লেখা হয় নি,
24. আমাদেরও লক্ষ্য করে লেখা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাসের জন্য ঈশ্বর আমাদেরও নির্দোষ বলে ধরবেন, কারণ যিনি আমাদের প্রভু যীশুকে মৃত্যু থেকে জীবিত করেছিলেন আমরা তাঁরই উপর বিশ্বাস করি।