21. ঈশ্বর মানুষকে এখন আইন-কানুন ছাড়াই কেমন করে নির্দোষ বলে গ্রহণ করেন তা প্রকাশিত হয়েছে। মোশির আইন-কানুন ও নবীরা সেই বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন।
22. যারা যীশু খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস করে তাদের সেই বিশ্বাসের মধ্য দিয়েই ঈশ্বর তাদের নির্দোষ বলে গ্রহণ করেন। যিহূদী ও অযিহূদী সবাই সমান,
23. কারণ সবাই পাপ করেছে এবং ঈশ্বরের প্রশংসা পাবার অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
24. কিন্তু খ্রীষ্ট যীশু মানুষকে পাপের হাত থেকে মুক্ত করবার ব্যবস্থা করেছেন এবং সেই মুক্তির মধ্য দিয়েই দয়ার দান হিসাবে বিশ্বাসীদের নির্দোষ বলে গ্রহণ করা হয়।
25. ঈশ্বর প্রকাশ করেছিলেন যে, যারা বিশ্বাস করে তাদের জন্য যীশু খ্রীষ্ট তাঁর রক্তের দ্বারা, অর্থাৎ তাঁর জীবন-উৎসর্গের দ্বারা তাঁকে সন্তুষ্ট করেছেন। এইভাবেই ঈশ্বর দেখিয়েছেন, যদিও তিনি তাঁর সহ্যগুণের জন্য মানুষের আগেকার পাপের শাস্তি দেন নি তবুও তিনি নির্দোষ।
26. তিনি যে নির্দোষ তা তিনি এখন দেখিয়েছেন যেন প্রমাণ হয় যে, তিনি নিজে নির্দোষ এবং যে কেউ যীশুর উপর বিশ্বাস করে তাকেও তিনি নির্দোষ বলে গ্রহণ করেন।
27. এর পর মানুষের গর্ব করবার আর কি আছে? কিছুই নেই। কিন্তু কেন নেই? মানুষ আইন-কানুন পালন করে বলে কি তার গর্ব করবার কিছু নেই? তা নয়। আসল কথা হল, বিশ্বাসের মধ্যে গর্বের জায়গা নেই,
28. কারণ আমরা জানি, ঈশ্বর মানুষকে তার বিশ্বাসের জন্য নির্দোষ বলে গ্রহণ করেন, আইন-কানুন পালন করবার জন্য নয়।
29. ঈশ্বর কি তবে কেবল যিহূদীদেরই, অযিহূদীদের নয়? হ্যাঁ, নিশ্চয় তিনি অযিহূদীদেরও ঈশ্বর,
30. কারণ ঈশ্বর তো মাত্র একজন। তিনি যিহূদীদের যেমন বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে নির্দোষ বলে গ্রহণ করবেন তেমনি অযিহূদীদেরও করবেন।
31. এই বিশ্বাসের জন্য কি আমরা তাহলে আইন-কানুন বাতিল করে দিচ্ছি? কখনও না, বরং আইন-কানুনের কথা যে সত্যি তা-ই আমরা প্রমাণ করছি।