4. তুমি তো ঈশ্বরের অশেষ দয়া, সহ্যগুণ ও ধৈর্যকে তুচ্ছ করছ। তুমি ভুলে গেছ ঈশ্বরের এই দয়ার উদ্দেশ্য হল তোমাকে পাপ থেকে মন ফিরাবার পথে নিয়ে আসা।
5. কিন্তু তোমার মন কঠিন; তুমি তো পাপ থেকে মন ফিরাতে চাও না। সেইজন্য যেদিন ঈশ্বরের ক্রোধ প্রকাশ পাবে সেই দিনের জন্য তুমি তোমার পাওনা শাস্তি জমা করে রাখছ। সেই সময়েই ঈশ্বরের ন্যায়বিচার প্রকাশ পাবে।
6. তিনি প্রত্যেকজনকে তার কাজ হিসাবে ফল দেবেন।
7. যারা ধৈর্যের সংগে ভাল কাজ করে ঈশ্বরের কাছ থেকে গৌরব, সম্মান এবং ধ্বংসহীন জীবন পেতে চায়, ঈশ্বর তাদেরই অনন্ত জীবন দেবেন।
8. কিন্তু যারা নিজেদের ইচ্ছামত চলে আর সত্যকে না মেনে অন্যায়কে মেনে চলে ঈশ্বর তাদের ভীষণ শাস্তি দেবেন।
9. যারা পাপ করে বেড়ায় তাদের প্রত্যেকের দুঃখ-কষ্ট ও দুর্দশা হবে-প্রথমে যিহূদীদের, তার পরে অযিহূদীদের।
10. কিন্তু যারা ভাল কাজ করে তারা গৌরব, সম্মান ও শান্তি লাভ করবে-প্রথমে যিহূদীরা, তারপর অযিহূদীরা।
11. এতে দেখা যায়, ঈশ্বরের চোখে সবাই সমান।
12. মোশির আইন-কানুনের বাইরে থাকা অবস্থায় যারা পাপ করে তারা আইন-কানুন ছাড়াই ধ্বংস হবে। কিন্তু যারা আইন-কানুনের ভিতরে থাকা অবস্থায় পাপ করে তাদের বিচার আইন-কানুনের দ্বারাই হবে।
13. যারা কেবল আইন-কানুনের কথা শোনে তারা ঈশ্বরের চোখে নির্দোষ নয়, কিন্তু যারা আইন-কানুন পালন করে ঈশ্বর তাদেরই নির্দোষ বলে গ্রহণ করবেন।
14. অযিহূদীরা মোশির আইন-কানুন পায় নি, কিন্তু তবুও তারা যখন নিজে থেকেই আইন-কানুন মত কাজ করে তখন আইন-কানুন না পেয়েও তারা নিজেরাই নিজেদের আইন-কানুন হয়ে ওঠে।
15. এতে দেখা যায় যে, আইন-কানুন মতে যা করা উচিত তা তাদের অন্তরেই লেখা আছে। তাদের বিবেকও সেই একই সাক্ষ্য দেয়। তাদের চিন্তা কোন কোন সময় তাদের দোষী করে, আবার কোন কোন সময় তাদের পক্ষেও থাকে।
16. ঈশ্বর যেদিন যীশু খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে মানুষের গোপন সব কিছুর বিচার করবেন সেই দিনই তা প্রকাশ পাবে। আমি যে সুখবর প্রচার করি সেই অনুসারেই এই বিচার হবে।
17. তুমি নিজেকে যিহূদী বলে থাক, তাই না? তুমি মোশির আইন- কানুনের উপর নির্ভর কর এবং নিজে ঈশ্বরের লোক বলে গর্ববোধ কর।
18. ঈশ্বর কি চান তা তুমি জান এবং যা ভাল তা মেনে নাও, কারণ আইন-কানুন থেকে তুমি সেই শিক্ষাই লাভ করেছ।