21. কিন্তু কেমন করে সে এখন দেখতে পাচ্ছে তা আমরা জানি না; আর কে যে তার চোখ খুলে দিয়েছে তাও জানি না। ওর বয়স হয়েছে, ওকেই জিজ্ঞাসা করুন। ও নিজের বিষয় নিজেই বলুক।”
22. তার মা-বাবা যিহূদী নেতাদের ভয়ে এই সব কথা বলল, কারণ যিহূদী নেতারা আগেই ঠিক করেছিলেন যে, কেউ যদি যীশুকে মশীহ বলে স্বীকার করে তবে তাকে সমাজ থেকে বের করে দেওয়া হবে।
23. সেইজন্যই তার মা-বাবা বলেছিল, “ওর বয়স হয়েছে, ওকেই জিজ্ঞাসা করুন।”
24. যে লোকটি আগে অন্ধ ছিল নেতারা তাকে দ্বিতীয় বার ডেকে বললেন, “তুমি সত্যি কথা বলে ঈশ্বরের গৌরব কর। আমরা তো জানি ঐ লোকটা পাপী।”
25. সে উত্তর দিল, “তিনি পাপী কি না তা আমি জানি না; তবে একটা বিষয় জানি যে, আগে আমি অন্ধ ছিলাম আর এখন দেখতে পাচ্ছি।”
26. নেতারা বললেন, “সে তোমাকে কি করেছে? কেমন করে সে তোমার চোখ খুলে দিয়েছে?”
27. উত্তরে লোকটি তাঁদের বলল, “আমি তো আগেই আপনাদের বলেছি, কিন্তু আপনারা শোনেন নি। কেন তবে আপনারা আবার শুনতে চান? আপনারাও কি তাঁর শিষ্য হতে চান?”
28. এতে নেতারা লোকটিকে খুব গালাগালি দিয়ে বললেন, “তুই সেই লোকের শিষ্য, কিন্তু আমরা মোশির শিষ্য।
29. আমরা জানি ঈশ্বর মোশির সংগে কথা বলেছিলেন, কিন্তু ঐ লোকটা কোথা থেকে এসেছে তা আমরা জানি না।”
30. তখন সেই লোকটি তাঁদের উত্তর দিল, “কি আশ্চর্য! আপনারা জানেন না তিনি কোথা থেকে এসেছেন অথচ তিনিই আমার চোখ খুলে দিয়েছেন।
31. আমরা জানি ঈশ্বর পাপীদের কথা শোনেন না। কিন্তু যদি কোন লোক ঈশ্বরভক্ত হয় ও তাঁর ইচ্ছামত কাজ করে তবে ঈশ্বর তাঁর কথা শোনেন।
32. জগৎ সৃষ্টির পর থেকে কখনও শোনা যায় নি, জন্ম থেকে অন্ধ এমন কোন লোকের চোখ কেউ খুলে দিয়েছে।
33. যদি উনি ঈশ্বরের কাছ থেকে না আসতেন তবে কিছুই করতে পারতেন না।”
34. উত্তরে নেতারা বললেন, “তোর জন্ম হয়েছে একেবারে পাপের মধ্যে, আর তুই আমাদের শিক্ষা দিচ্ছিস?” এই বলে তাঁরা তাকে সমাজ থেকে বের করে দিলেন।
35. যীশু শুনলেন যে, নেতারা লোকটিকে বের করে দিয়েছেন। পরে তিনি সেই লোকটিকে খুঁজে পেয়ে বললেন, “তুমি কি মনুষ্যপুত্রের উপর বিশ্বাস কর?”
36. সে উত্তর দিল, “প্রভু, তিনি কে, আমাকে বলুন যাতে আমি তাঁর উপরে বিশ্বাস করতে পারি।”