9. এই কথা শুনে সেই নেতাদের মধ্যে বুড়ো লোক থেকে আরম্ভ করে একে একে সবাই চলে গেলেন। যীশু কেবল একা রইলেন আর সেই স্ত্রীলোকটি তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে ছিল।
10. যীশু উঠে সেই স্ত্রীলোকটিকে বললেন, “তাঁরা কোথায়? কেউ কি তোমাকে শাস্তির উপযুক্ত মনে করেন নি?”
11. স্ত্রীলোকটি উত্তর দিল, “না হুজুর, কেউই করেন নি।”তখন যীশু বললেন, “আমিও করি না। আচ্ছা যাও; পাপে জীবন আর কাটায়ো না।”
12. পরে যীশু আবার লোকদের বললেন, “আমিই জগতের আলো। যে আমার পথে চলে সে কখনও অন্ধকারে পা ফেলবে না, বরং জীবনের আলো পাবে।”
13. এতে ফরীশীরা যীশুকে বললেন, “তোমার সাক্ষ্য সত্যি নয়, কারণ তুমি নিজের পক্ষে নিজেই সাক্ষ্য দিচ্ছ।”
14. যীশু তাঁদের উত্তর দিলেন, “যদিও আমি নিজের পক্ষে নিজে সাক্ষ্য দিই তবুও আমার সাক্ষ্য সত্যি, কারণ আমি কোথা থেকে এসেছি আর কোথায় যাচ্ছি তা আমি জানি। কিন্তু আমি কোথা থেকে এসেছি আর কোথায় যাচ্ছি তা আপনারা জানেন না।
15. মানুষ যেভাবে বিচার করে আপনারা সেইভাবে বিচার করে থাকেন, কিন্তু আমি কারও বিচার করি না।
16. কিন্তু যদি আমি কখনও বিচার করি তবে আমার সেই বিচার সত্যি, কারণ আমি একা নই। আমি তো আছিই আর যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন সেই পিতাও আমার সংগে আছেন।
17. আপনাদের আইন-কানুনে লেখা আছে, দু’জন যদি একই সাক্ষ্য দেয় তবে তা সত্যি।
18. আমিই আমার নিজের পক্ষে সাক্ষ্য দিই, আর যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন সেই পিতাও আমার পক্ষে সাক্ষ্য দেন।”
19. ফরীশীরা তাঁকে বললেন, “তোমার পিতা কোথায়?”যীশু উত্তর দিলেন, “আপনারা আমাকেও জানেন না আর আমার পিতাকেও জানেন না। যদি আমাকে জানতেন তবে আমার পিতাকেও জানতেন।”
20. উপাসনা-ঘরে শিক্ষা দেবার সময়ে দান দেবার জায়গায় যীশু এই সব কথা বললেন। কিন্তু তখনও তাঁর সময় হয় নি বলে কেউই তাঁকে ধরল না।
21. যীশু আবার ফরীশীদের বললেন, “আমি চলে যাচ্ছি। আপনারা আমাকে খুঁজবেন, কিন্তু আপনারা আপনাদের পাপের মধ্যে মরবেন। আমি যেখানে যাচ্ছি আপনারা সেখানে আসতে পারবেন না।”
22. তখন যিহূদী নেতারা বললেন, “সে আত্মহত্যা করবে নাকি? কারণ সে বলছে, ‘আমি যেখানে যাচ্ছি আপনারা সেখানে আসতে পারবেন না।’ ”
23. যীশু তাঁদের বললেন, “আমি উপর থেকে এসেছি আর আপনারা নীচ থেকে এসেছেন। আপনারা এই জগতের, কিন্তু আমি এই জগতের নই।
24. তাই আমি আপনাদের বলেছি, আপনারা আপনাদের পাপের মধ্যে মরবেন। যদি আপনারা বিশ্বাস না করেন যে, আমিই সেই, তবে আপনাদের পাপের মধ্যেই আপনারা মরবেন।”