47. যে লোক ঈশ্বরের, সে ঈশ্বরের কথা শোনে। আপনারা ঈশ্বরের নন বলে ঈশ্বরের কথা শোনেন না।”
48. তখন যিহূদী নেতারা যীশুকে বললেন, “আমরা কি ঠিক বলি নি যে, তুমি একজন শমরীয় আর তোমাকে ভূতে পেয়েছে?”
49. উত্তরে যীশু বললেন, “আমাকে ভূতে পায় নি। আমি আমার পিতাকে সম্মান করি, কিন্তু আপনারা আমাকে অসম্মান করেন।
50. আমি আমার নিজের প্রশংসার চেষ্টা করি না, কিন্তু একজন আছেন যিনি আমাকে সম্মান দান করেন, আর তিনিই বিচারকর্তা।
51. আমি আপনাদের সত্যিই বলছি, যদি কেউ আমার কথার বাধ্য হয়ে চলে তবে সে কখনও মরবে না।”
52. যিহূদী নেতারা তাঁকে বললেন, “এবার আমরা সত্যি বুঝলাম যে, তোমাকে ভূতেই পেয়েছে। অব্রাহাম ও নবীরা মারা গেছেন, আর তুমি বলছ, ‘যদি কেউ আমার কথার বাধ্য হয়ে চলে সে কখনও মরবে না।’ তুমি কি পিতা অব্রাহাম থেকেও বড়?
53. তিনি তো মারা গেছেন এবং নবীরাও মারা গেছেন। তুমি নিজেকে কি মনে কর?”
54. উত্তরে যীশু বললেন, “যদি আমি নিজের প্রশংসা নিজেই করি তবে তার কোন দাম নেই। আমার পিতা, যাঁকে আপনারা আপনাদের ঈশ্বর বলে দাবি করেন তিনিই আমাকে সম্মান দান করেন।
55. আপনারা কখনও তাঁকে জানেন নি, কিন্তু আমি তাঁকে জানি। যদি আমি বলি আমি তাঁকে জানি না তবে আপনাদেরই মত আমি মিথ্যাবাদী হব। কিন্তু আমি তাঁকে জানি এবং তাঁর কথার বাধ্য হয়ে চলি।
56. আপনাদের পিতা অব্রাহাম আমারই দিন দেখবার আশায় আনন্দ করেছিলেন। তিনি তা দেখেছিলেন আর খুশীও হয়েছিলেন।”