3-4. এমন সময় ধর্ম-শিক্ষক ও ফরীশীরা একজন স্ত্রীলোককে যীশুর কাছে নিয়ে আসলেন। স্ত্রীলোকটি ব্যভিচারে ধরা পড়েছিল। ধর্ম-শিক্ষক ও ফরীশীরা সেই স্ত্রীলোকটিকে মাঝখানে দাঁড় করিয়ে যীশুকে বললেন, “গুরু, এই স্ত্রীলোকটি ব্যভিচারে ধরা পড়েছে।
26. আপনাদের সম্বন্ধে বলবার আর বিচার করে দেখবার আমার অনেক কিছুই আছে। কিন্তু যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁর মধ্যে মিথ্যা নেই; আমি তাঁর কাছে যা শুনেছি তা-ই মানুষকে বলি।”
27. তাঁরা বুঝলেন না যীশু পিতার বিষয়েই তাঁদের কাছে বলছিলেন।
28. এইজন্য যীশু বললেন, “যখন আপনারা মনুষ্যপুত্রকে উঁচুতে তুলবেন তখন বুঝতে পারবেন যে, আমিই সেই। আর এও বুঝতে পারবেন যে, আমি নিজে থেকে কোন কিছুই করি না, বরং পিতা আমাকে যে শিক্ষা দিয়েছেন আমি সেই সব কথাই বলি।
29. যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তিনিই আমার সংগে আছেন। তিনি আমাকে একা ছেড়ে দেন নি, কারণ যে কাজে তিনি সন্তুষ্ট হন আমি সব সময় সেই কাজই করি।”
30. যীশু যখন এই সব কথা বলছিলেন তখন অনেকেই তাঁর উপর বিশ্বাস করল।
31. যে যিহূদীরা তাঁকে বিশ্বাস করেছিল যীশু তাদের বললেন, “আমার কথামত যদি আপনারা চলেন তবে সত্যিই আপনারা আমার শিষ্য।
32. তা ছাড়া আপনারা সত্যকে জানতে পারবেন, আর সেই সত্যই আপনাদের মুক্ত করবে।”
33. যিহূদী নেতারা তখন যীশুকে বললেন, “আমরা অব্রাহামের বংশের লোক; আমরা কখনও কারও দাস হই নি। তুমি কি করে বলছ যে, আমাদের মুক্ত করা হবে?”