20. লোকেরা উত্তর দিল, “তোমাকে ভূতে পেয়েছে; কে তোমাকে মেরে ফেলতে চেষ্টা করছে?”
21. যীশু তাদের বললেন, “আমি একটা কাজ করেছি বলে আপনারা সবাই অবাক হচ্ছেন।
22. মোশি আপনাদের সুন্নত করাবার নিয়ম দিয়েছেন, আর সেই সুন্নত আপনারা বিশ্রামবারেও করিয়ে থাকেন। অবশ্য এই নিয়ম মোশির কাছ থেকে আসে নি, পূর্বপুরুষদের কাছ থেকেই এসেছে।
23. বেশ ভাল, মোশির নিয়ম না ভাংবার জন্য যদি বিশ্রামবারেও ছেলেদের সুন্নত করানো যায়, তবে আমি বিশ্রামবারে একটি মানুষকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ করেছি বলে আপনারা আমার উপর রাগ করছেন কেন?
24. বাইরের চেহারা দেখে বিচার না করে বরং ন্যায়ভাবে বিচার করুন।”
25. তখন যিরূশালেমের কয়েকজন লোক বলল, “যাকে নেতারা মেরে ফেলতে চান, এ কি সেই লোক নয়?
26. কিন্তু সে তো খোলাখুলিভাবে কথা বলছে অথচ নেতারা কেউ তাকে কিছুই বলছেন না। তাহলে সত্যিই কি তাঁরা জানতে পেরেছেন যে, এই লোকটিই মশীহ?
27. তবে আমরা তো জানি এ কোথা থেকে এসেছে। কিন্তু মশীহ যখন আসবেন তখন কেউ জানবে না তিনি কোথা থেকে এসেছেন।”
28. তারপর যীশু উপাসনা-ঘরে শিক্ষা দেবার সময় জোরে জোরেই বললেন, “আপনারা আমাকেও জানেন, আর আমি কোথা থেকে এসেছি তা-ও জানেন। তবে আমি নিজে থেকে আসি নি, কিন্তু সত্য ঈশ্বর আমাকে পাঠিয়েছেন।
29. তাঁকে আপনারা জানেন না কিন্তু আমি জানি, কারণ আমি তাঁরই কাছ থেকে এসেছি আর তিনিই আমাকে পাঠিয়েছেন।”
30. এতে সেই লোকেরা যীশুকে ধরতে চাইল, কিন্তু তখনও তাঁর সময় হয় নি বলে কেউ তাঁর গায়ে হাত দিল না।
31. তবে লোকদের মধ্যে অনেকে যীশুর উপর বিশ্বাস করে বলল, “ইনি তো অনেক আশ্চর্য কাজ করেছেন। মশীহ এসে কি এর চেয়েও বেশী আশ্চর্য কাজ করবেন?”
32. লোকেরা যে যীশুর সম্বন্ধে এই সব কথা বলাবলি করছে তা ফরীশীরা শুনতে পেলেন। তখন প্রধান পুরোহিতেরা ও ফরীশীরা যীশুকে ধরবার জন্য কয়েকজন কর্মচারী পাঠিয়ে দিলেন।
33. যীশু বললেন, “আমি আর বেশী দিন আপনাদের মধ্যে নেই। তারপর যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন আমি তাঁর কাছে চলে যাব।
34. আপনারা আমাকে খুঁজবেন কিন্তু পাবেন না, আর আমি যেখানে থাকব আপনারা সেখানে আসতেও পারবেন না।”
35. যীশুর এই কথাতে যিহূদী নেতারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগলেন, “এই লোকটা কোথায় যাবে যে, আমরা তাকে খুঁজে পাব না? অযিহূদীদের মধ্যে যে যিহূদীরা ছড়িয়ে রয়েছে, সে কি সেখানে গিয়ে অযিহূদীদের শিক্ষা দেবে?
36. সে যে বলল, ‘আপনারা আমাকে খুঁজবেন কিন্তু পাবেন না, আর আমি যেখানে থাকব আপনারা সেখানে আসতেও পারবেন না,’ এই কথার মানে কি?”
37. পর্বের শেষের দিনটাই ছিল প্রধান দিন। সেই দিন যীশু দাঁড়িয়ে জোরে জোরে বললেন, “কারও যদি পিপাসা পায় তবে সে আমার কাছে এসে জল খেয়ে যাক।
38. যে আমার উপর বিশ্বাস করে, পবিত্র শাস্ত্রের কথামত তার অন্তর থেকে জীবন্ত জলের নদী বইতে থাকবে।”
39. যীশুর উপর বিশ্বাস করে যারা পবিত্র আত্মাকে পাবে সেই পবিত্র আত্মার বিষয়ে যীশু এই কথা বললেন। পবিত্র আত্মাকে তখনও দেওয়া হয় নি কারণ তখনও যীশু তাঁর মহিমা ফিরে পান নি।
40. এই সব কথা শুনে লোকদের মধ্যে কয়েকজন বলল, “সত্যি ইনিই সেই নবী।”