16. উত্তরে যীশু তাঁদের বললেন, “আমি যে শিক্ষা দিই তা আমার নিজের নয়, কিন্তু যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তাঁরই।
17. যদি কেউ তাঁর ইচ্ছা পালন করতে চায় তবে সে বুঝতে পারবে যে, এই শিক্ষা ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছে, না আমি নিজ থেকে বলছি।
18. যে নিজ থেকে কথা বলে সে তার নিজের প্রশংসারই চেষ্টা করে, কিন্তু যিনি পাঠিয়েছেন, কেউ যদি তাঁরই প্রশংসার চেষ্টা করে তবে সে সত্যবাদী এবং তার মনে কোন ছলনা নেই।
19. মোশি কি আপনাদের আইন-কানুন দেন নি? কিন্তু আপনাদের মধ্যে কেউ সেই আইন-কানুন পালন করেন না। তবে কেন আপনারা আমাকে মেরে ফেলতে চেষ্টা করছেন?”
20. লোকেরা উত্তর দিল, “তোমাকে ভূতে পেয়েছে; কে তোমাকে মেরে ফেলতে চেষ্টা করছে?”
21. যীশু তাদের বললেন, “আমি একটা কাজ করেছি বলে আপনারা সবাই অবাক হচ্ছেন।
22. মোশি আপনাদের সুন্নত করাবার নিয়ম দিয়েছেন, আর সেই সুন্নত আপনারা বিশ্রামবারেও করিয়ে থাকেন। অবশ্য এই নিয়ম মোশির কাছ থেকে আসে নি, পূর্বপুরুষদের কাছ থেকেই এসেছে।
23. বেশ ভাল, মোশির নিয়ম না ভাংবার জন্য যদি বিশ্রামবারেও ছেলেদের সুন্নত করানো যায়, তবে আমি বিশ্রামবারে একটি মানুষকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ করেছি বলে আপনারা আমার উপর রাগ করছেন কেন?
24. বাইরের চেহারা দেখে বিচার না করে বরং ন্যায়ভাবে বিচার করুন।”
25. তখন যিরূশালেমের কয়েকজন লোক বলল, “যাকে নেতারা মেরে ফেলতে চান, এ কি সেই লোক নয়?
26. কিন্তু সে তো খোলাখুলিভাবে কথা বলছে অথচ নেতারা কেউ তাকে কিছুই বলছেন না। তাহলে সত্যিই কি তাঁরা জানতে পেরেছেন যে, এই লোকটিই মশীহ?
27. তবে আমরা তো জানি এ কোথা থেকে এসেছে। কিন্তু মশীহ যখন আসবেন তখন কেউ জানবে না তিনি কোথা থেকে এসেছেন।”
28. তারপর যীশু উপাসনা-ঘরে শিক্ষা দেবার সময় জোরে জোরেই বললেন, “আপনারা আমাকেও জানেন, আর আমি কোথা থেকে এসেছি তা-ও জানেন। তবে আমি নিজে থেকে আসি নি, কিন্তু সত্য ঈশ্বর আমাকে পাঠিয়েছেন।