51. আমিই সেই জীবন্ত রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে। এই রুটি যে খাবে সে চিরকালের জন্য জীবন পাবে। আমার দেহই সেই রুটি। মানুষ যেন জীবন পায় সেইজন্য আমি আমার এই দেহ দেব।”
52. এই কথা শুনে যিহূদী নেতাদের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হল। তাঁরা বলতে লাগলেন, “কেমন করে এই লোকটা তার দেহ আমাদের খেতে দিতে পারে?”
53. যীশু তাঁদের বললেন, “আমি সত্যিই আপনাদের বলছি, মনুষ্যপুত্রের মাংস ও রক্ত যদি আপনারা না খান তবে আপনাদের মধ্যে জীবন নেই।
54. যদি কেউ আমার মাংস ও রক্ত খায় সে অনন্ত জীবন পায়, আর আমি শেষ দিনে তাকে জীবিত করে তুলব।
55. আমার মাংসই হল আসল খাবার আর আমার রক্তই আসল পানীয়।
56. যে আমার মাংস ও রক্ত খায় সে আমারই মধ্যে থাকে আর আমিও তার মধ্যে থাকি।
57. জীবন্ত পিতা আমাকে পাঠিয়েছেন আর তাঁরই দরুন আমি জীবিত আছি। ঠিক সেইভাবে যে আমাকে খায় সেও আমার দরুন জীবিত থাকবে।
58. এ সেই রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে। আপনাদের পূর্বপুরুষেরা যে রুটি খেয়েও মারা গেছেন এ সেই রকম রুটি নয়। এই রুটি যে খাবে সে চিরকালের জন্য জীবন পাবে।”
59. কফরনাহূমের সমাজ-ঘরে শিক্ষা দেবার সময় যীশু এই কথা বলেছিলেন।
60. তাঁর শিষ্যদের মধ্যে অনেকে এই কথা শুনে বলল, “এ বড় কঠিন শিক্ষা। কে এটা গ্রহণ করতে পারে?”
61. যীশু নিজের মনে বুঝতে পারলেন যে, তাঁর শিষ্যেরা এই বিষয় নিয়ে বকবক করছে। সেইজন্য তিনি তাঁদের বললেন, “এতে কি তোমরা মনে বাধা পাচ্ছ?
62. তবে মনুষ্যপুত্র আগে যেখানে ছিলেন তাঁকে সেখানে উঠে যেতে দেখলে তোমরা কি বলবে?