18. খুব জোরে বাতাস বইছিল বলে সাগরেও বড় বড় ঢেউ উঠছিল।
19. পাঁচ-ছয় কিলোমিটার নৌকা বেয়ে যাবার পর তাঁরা দেখলেন, যীশু সাগরের উপর দিয়ে হেঁটে তাঁদের নৌকার কাছে আসছেন। এ দেখে শিষ্যেরা খুব ভয় পেলেন।
20. তখন যীশু তাঁদের বললেন, “ভয় কোরো না; এ আমি।”
21. শিষ্যেরা তাঁকে নৌকায় তুলে নিতে চাইলেন, আর তাঁরা যেখানে যাচ্ছিলেন নৌকাটা তখনই সেখানে পৌঁছে গেল।
22. সাগরের অন্য পারে যে লোকেরা দাঁড়িয়ে ছিল, পরদিন তারা বুঝতে পারল যে, আগের দিন সেখানে একটা নৌকা ছাড়া আর অন্য কোন নৌকা ছিল না। তারা আরও বুঝতে পারল যে, যীশু তাঁর শিষ্যদের সংগে সেই নৌকায় ওঠেন নি বরং শিষ্যেরা একাই চলে গিয়েছিলেন।
23. তবে যেখানে প্রভু ধন্যবাদ দেবার পর লোকেরা রুটি খেয়েছিল সেই জায়গার কাছে তখন তিবিরিয়া শহর থেকে কয়েকটা নৌকা আসল।
24. এইজন্য লোকেরা যখন দেখল যে, যীশু বা তাঁর শিষ্যেরা কেউই সেখানে নেই তখন তারা সেই নৌকাগুলোতে উঠে যীশুকে খুঁজবার জন্য কফরনাহূমে গেল।
25. সেখানে পৌঁছে তারা যীশুকে খুঁজে পেয়ে বলল, “গুরু, আপনি কখন এখানে এসেছেন?”
26. যীশু উত্তর দিলেন, “আমি আপনাদের সত্যিই বলছি, আপনারা আশ্চর্য কাজ দেখেছেন বলেই যে আমার খোঁজ করছেন তা নয়, বরং পেট ভরে রুটি খেতে পেয়েছেন বলেই খোঁজ করছেন।
27. কিন্তু যে খাবার নষ্ট হয়ে যায় সেই খাবারের জন্য ব্যস্ত হয়ে লাভ কি? যে খাবার নষ্ট হয় না বরং অনন্ত জীবন দান করে তারই জন্য ব্যস্ত হন। সেই খাবারই মনুষ্যপুত্র আপনাদের দেবেন, কারণ পিতা ঈশ্বর প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে, এই কাজ করবার অধিকার কেবল তাঁরই আছে।
28. এতে লোকেরা যীশুকে জিজ্ঞাসা করল, “তাহলে ঈশ্বরের কাজ করবার জন্য আমাদের কি করতে হবে?”
29. যীশু তাদের বললেন, “ঈশ্বর যাঁকে পাঠিয়েছেন তাঁর উপরে বিশ্বাস করাই হল ঈশ্বরের কাজ।”
30. তখন তারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, “তাহলে কি এমন আশ্চর্য কাজ আপনি করবেন যা দেখে আমরা আপনাকে বিশ্বাস করতে পারি? আপনি কি কাজ করবেন?
31. আমাদের পূর্বপুরুষেরা তো মরু-এলাকায় মান্না খেয়েছিলেন। পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, ‘ঈশ্বর স্বর্গ থেকে তাদের রুটি খেতে দিলেন।’ ”
32. যীশু তাদের বললেন, “আমি আপনাদের সত্যিই বলছি, স্বর্গ থেকে যে রুটি আপনারা পেয়েছিলেন তা মোশি আপনাদের দেন নি, কিন্তু আমার পিতা সত্যিকারের রুটি স্বর্গ থেকে আপনাদের দিচ্ছেন।
33. স্বর্গ থেকে নেমে এসে যিনি মানুষকে জীবন দেন তিনিই ঈশ্বরের দেওয়া রুটি।”
34. লোকেরা তাঁকে বলল, “গুরু, তাহলে সেই রুটিই সব সময় আমাদের দিন।”