17. আর নৌকায় উঠে কফরনাহূম শহরে যাবার জন্য সাগর পার হতে লাগলেন। সেই সময় অন্ধকার হয়েছিল, আর তখনও যীশু তাঁদের কাছে আসেন নি।
18. খুব জোরে বাতাস বইছিল বলে সাগরেও বড় বড় ঢেউ উঠছিল।
19. পাঁচ-ছয় কিলোমিটার নৌকা বেয়ে যাবার পর তাঁরা দেখলেন, যীশু সাগরের উপর দিয়ে হেঁটে তাঁদের নৌকার কাছে আসছেন। এ দেখে শিষ্যেরা খুব ভয় পেলেন।
20. তখন যীশু তাঁদের বললেন, “ভয় কোরো না; এ আমি।”
21. শিষ্যেরা তাঁকে নৌকায় তুলে নিতে চাইলেন, আর তাঁরা যেখানে যাচ্ছিলেন নৌকাটা তখনই সেখানে পৌঁছে গেল।
22. সাগরের অন্য পারে যে লোকেরা দাঁড়িয়ে ছিল, পরদিন তারা বুঝতে পারল যে, আগের দিন সেখানে একটা নৌকা ছাড়া আর অন্য কোন নৌকা ছিল না। তারা আরও বুঝতে পারল যে, যীশু তাঁর শিষ্যদের সংগে সেই নৌকায় ওঠেন নি বরং শিষ্যেরা একাই চলে গিয়েছিলেন।
23. তবে যেখানে প্রভু ধন্যবাদ দেবার পর লোকেরা রুটি খেয়েছিল সেই জায়গার কাছে তখন তিবিরিয়া শহর থেকে কয়েকটা নৌকা আসল।
24. এইজন্য লোকেরা যখন দেখল যে, যীশু বা তাঁর শিষ্যেরা কেউই সেখানে নেই তখন তারা সেই নৌকাগুলোতে উঠে যীশুকে খুঁজবার জন্য কফরনাহূমে গেল।
25. সেখানে পৌঁছে তারা যীশুকে খুঁজে পেয়ে বলল, “গুরু, আপনি কখন এখানে এসেছেন?”
26. যীশু উত্তর দিলেন, “আমি আপনাদের সত্যিই বলছি, আপনারা আশ্চর্য কাজ দেখেছেন বলেই যে আমার খোঁজ করছেন তা নয়, বরং পেট ভরে রুটি খেতে পেয়েছেন বলেই খোঁজ করছেন।
27. কিন্তু যে খাবার নষ্ট হয়ে যায় সেই খাবারের জন্য ব্যস্ত হয়ে লাভ কি? যে খাবার নষ্ট হয় না বরং অনন্ত জীবন দান করে তারই জন্য ব্যস্ত হন। সেই খাবারই মনুষ্যপুত্র আপনাদের দেবেন, কারণ পিতা ঈশ্বর প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে, এই কাজ করবার অধিকার কেবল তাঁরই আছে।
28. এতে লোকেরা যীশুকে জিজ্ঞাসা করল, “তাহলে ঈশ্বরের কাজ করবার জন্য আমাদের কি করতে হবে?”