5. আটত্রিশ বছর ধরে রোগে ভুগছে তেমন একজন লোকও সেখানে ছিল।
6. অনেক দিন ধরে সে এইভাবে পড়ে আছে জেনে যীশু তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার কি ভাল হবার ইচ্ছা আছে?”
7. রোগীটি উত্তর দিল, “আমার এমন কেউ নেই যে, জল কেঁপে উঠবার সংগে সংগে আমাকে পুকুরে নামিয়ে দেয়। আমি যেতে না যেতেই আর একজন আমার আগে নেমে পড়ে।”
8. যীশু তাকে বললেন, “ওঠো, তোমার বিছানা তুলে নিয়ে হেঁটে বেড়াও।”
9. তখনই সেই লোকটি ভাল হয়ে গেল ও তার বিছানা তুলে নিয়ে হাঁটতে লাগল।সেই দিনটা ছিল বিশ্রামবার।
10. এইজন্য যে লোকটিকে ভাল করা হয়েছিল তাকে যিহূদী নেতারা বললেন, “আজ বিশ্রামবার; ধর্মের নিয়ম মতে বিছানা তুলে নেওয়া তোমার উচিত নয়।”
11. তখন সে সেই নেতাদের বলল, “কিন্তু যিনি আমাকে ভাল করেছেন তিনিই আমাকে বলেছেন, ‘তোমার বিছানা তুলে নিয়ে হেঁটে বেড়াও।’ ”
12. তাঁরা সেই লোকটিকে জিজ্ঞাসা করলেন, “কে সেই লোক, যে তোমাকে বলেছে, ‘তোমার বিছানা তুলে নিয়ে হেঁটে বেড়াও?’ ”
13. কিন্তু যে লোকটি ভাল হয়েছিল সে জানত না তিনি কে, কারণ সেই জায়গায় অনেক লোক ভিড় করেছিল বলে যীশু চলে গিয়েছিলেন।
14. এর পরে যীশু সেই লোকটিকে উপাসনা-ঘরে দেখতে পেয়ে বললেন, “দেখ, তুমি ভাল হয়েছ। পাপে জীবন আর কাটায়ো না, যেন তোমার আরও ক্ষতি না হয়।”
15. তখন সেই লোকটি গিয়ে যিহূদী নেতাদের বলল যে, তাকে যিনি ভাল করেছেন তিনি যীশু।
16. বিশ্রামবারে যীশু এই সব কাজ করছিলেন বলে যিহূদী নেতারা তাঁকে মেরে ফেলতে চেষ্টা করলেন।
17. তখন তিনি সেই নেতাদের বললেন, “আমার পিতা সব সময় কাজ করছেন এবং আমিও করছি।”
18. যীশুর এই কথার জন্য যিহূদী নেতারা তাঁকে মেরে ফেলবার জন্য উঠে পড়ে লাগলেন, কারণ তিনি যে কেবল বিশ্রামবারের নিয়ম ভাংছিলেন তা নয়, ঈশ্বরকে নিজের পিতা বলে ডেকে নিজেকে ঈশ্বরের সমানও করছিলেন।
19. এতে যীশু সেই নেতাদের বললেন, “আমি সত্যিই আপনাদের বলছি, পুত্র নিজ থেকে কিছুই করতে পারেন না। পিতাকে যা করতে দেখেন কেবল তা-ই করতে পারেন, কারণ পিতা যা করেন পুত্রও তা-ই করেন।
20. পিতা পুত্রকে ভালবাসেন এবং তিনি নিজে যা কিছু করেন সমস্তই পুত্রকে দেখান। তিনি এগুলোর চেয়ে আরও মহৎ মহৎ কাজ পুত্রকে দেখাবেন, যেন পুত্রকে সেই সব কাজ করতে দেখে আপনারা আশ্চর্য হন।
21. পিতা যেমন মৃতদের জীবন দিয়ে উঠান ঠিক তেমনি পুত্রও যাকে ইচ্ছা করেন তাকে জীবন দেন।
22. পিতা কারও বিচার করেন না, কিন্তু সমস্ত বিচারের ভার পুত্রকে দিয়েছেন,