20. যে কেউ অন্যায় কাজ করতে থাকে সে আলো ঘৃণা করে। তার অন্যায় কাজগুলো প্রকাশ হয়ে পড়বে বলে সে আলোর কাছে আসে না।
21. কিন্তু যে সত্যের পথে চলে সে আলোর কাছে আসে যেন তার কাজগুলো যে ঈশ্বরের ইচ্ছামত করা হয়েছে তা প্রকাশ পায়।”
22. এর পরে যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা যিহূদিয়া প্রদেশে গেলেন। সেখানে তিনি তাঁর শিষ্যদের সংগে কিছু দিন থাকলেন এবং লোকদের বাপ্তিস্ম দিতে লাগলেন।
23. শালীম নামে একটা গ্রামের কাছে ঐনোন বলে একটা জায়গায় তখন যোহনও বাপ্তিস্ম দিচ্ছিলেন, কারণ সেই জায়গায় অনেক জল ছিল আর লোকেরাও এসে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করছিল।
24. তখনও যোহনকে জেলখানায় বন্দী করা হয় নি।
25. সেই সময় ধর্মের নিয়ম মত শুচি হওয়ার বিষয় নিয়ে যোহনের শিষ্যেরা একজন যিহূদীর সংগে তর্ক আরম্ভ করেছিলেন।
26. পরে তাঁরা যোহনের কাছে এসে বললেন, “গুরু, যিনি যর্দনের অন্য পারে আপনার সংগে ছিলেন এবং যাঁর বিষয়ে আপনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, দেখুন, তিনি বাপ্তিস্ম দিচ্ছেন আর সবাই তাঁর কাছে যাচ্ছে।”
27. এর উত্তরে যোহন বললেন, “স্বর্গ থেকে দেওয়া না হলে কারও পক্ষে কোন কিছুই পাওয়া সম্ভব নয়।
28. তোমরাই আমাকে বলতে শুনেছ যে, আমি মশীহ নই, কিন্তু আমাকে তাঁর আগে পাঠানো হয়েছে।
29. যার হাতে কন্যাকে দেওয়া হয়েছে, সে-ই বর। বরের বন্ধু দাঁড়িয়ে বরের কথা শোনে এবং তাঁর গলার আওয়াজ শুনে খুব খুশী হয়। ঠিক সেইভাবে আমার আনন্দও আজ পূর্ণ হল।
30. তাঁকে বেড়ে উঠতে হবে আর আমাকে সরে যেতে হবে।”
31. যিনি উপর থেকে আসেন তিনি সকলের উপরে। যে পৃথিবী থেকে আসে সে পৃথিবীর, আর সে পৃথিবীর কথাই বলে। কিন্তু যিনি স্বর্গ থেকে আসেন তিনিই সকলের উপরে।
32. তিনি যা দেখেছেন আর শুনেছেন তারই সাক্ষ্য দেন, কিন্তু কেউ তাঁর সাক্ষ্য গ্রাহ্য করে না।