7. যীশু আবার তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনারা কাকে খুঁজছেন?”তারা বলল, “নাসরতের যীশুকে।”
8. তখন যীশু বললেন, “আমি তো আপনাদের বলেছি যে, আমিই সেই। যদি আপনারা আমারই খোঁজে এসে থাকেন তবে এদের চলে যেতে দিন।”
9. এটা ঘটল যাতে যীশুর বলা এই কথাটা পূর্ণ হয়, “যাদের তুমি আমাকে দিয়েছ তাদের একজনকেও আমি হারাই নি।”
10. শিমোন-পিতরের কাছে একটা ছোরা ছিল। পিতর সেই ছোরাটা বের করে তার আঘাতে মহাপুরোহিতের দাসের ডান কানটা কেটে ফেললেন। সেই দাসের নাম ছিল মল্ক।
11. এতে যীশু পিতরকে বললেন, “তোমার ছোরা খাপে রাখ। পিতা আমাকে যে দুঃখের পেয়ালা দিয়েছেন তা কি আমি গ্রহণ করব না?”
12. তখন সেই সৈন্যেরা আর তাদের সেনাপতি ও যিহূদী নেতাদের কর্মচারীরা যীশুকে ধরে বাঁধল।
13. প্রথমে তারা যীশুকে হাননের কাছে নিয়ে গেল, কারণ যে কাইয়াফা সেই বছরের মহাপুরোহিত ছিলেন হানন ছিলেন তাঁর শ্বশুর।
14. এই কাইয়াফাই যিহূদী নেতাদের পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, গোটা জাতির বদলে বরং একজনের মৃত্যু হওয়াই ভাল।
15. শিমোন-পিতর এবং আর একজন শিষ্য যীশুর পিছনে পিছনে গেলেন। সেই অন্য শিষ্যকে মহাপুরোহিত চিনতেন। সেই শিষ্য যীশুর সংগে সংগে মহাপুরোহিতের উঠানে ঢুকলেন,
16. কিন্তু পিতর বাইরে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে রইলেন। তখন মহাপুরোহিতের চেনা সেই শিষ্য বাইরে গিয়ে দরজার পাহারাদার মেয়েটিকে বলে পিতরকে ভিতরে আনলেন।
17. সেই মেয়েটি পিতরকে বলল, “তুমিও কি এই লোকটির শিষ্যদের মধ্যে একজন?”পিতর বললেন, “না, আমি নই।”
18. তখন বেশ শীত পড়েছিল। এইজন্য দাসেরা এবং কর্মচারীরা কাঠকয়লার আগুন জ্বেলে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আগুন পোহাচ্ছিল। পিতরও তাদের সংগে দাঁড়িয়ে আগুন পোহাচ্ছিলেন।
19. মহাপুরোহিত তখন যীশুকে তাঁর শিষ্যদের বিষয়ে আর তাঁর শিক্ষার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন।