25. যখন শিমোন-পিতর দাঁড়িয়ে আগুন পোহাচ্ছিলেন তখন লোকেরা তাঁকে বলল, “তুমিও কি ওর শিষ্যদের মধ্যে একজন?”পিতর অস্বীকার করে বললেন, “না, আমি নই।”
26. পিতর যার কান কেটে ফেলেছিলেন তার এক আত্মীয় মহাপুরোহিতের দাস ছিল। সে বলল, “আমি কি তোমাকে বাগানে তার সংগে দেখি নি?”
27. পিতর আবার অস্বীকার করলেন, আর তখনই একটা মোরগ ডেকে উঠল।
28. যিহূদী নেতারা ভোর বেলায় যীশুকে কাইয়াফার কাছ থেকে রোমীয় প্রধান শাসনকর্তা পীলাতের বাড়ীতে নিয়ে গেলেন। তাঁরা কিন্তু সেই বাড়ীর ভিতরে ঢুকলেন না যেন শুচি থেকে উদ্ধার-পর্বের ভোজ খেতে পারেন।
29. তখন পীলাত বাইরে তাঁদের কাছে এসে বললেন, “এই লোকটিকে তোমরা কি দোষে দোষী করছ?”
30. যিহূদী নেতারা বললেন, “এ যদি মন্দ কাজ না করত তবে আমরা তাকে আপনার কাছে আনতাম না।”
31. পীলাত তাঁদের বললেন, “একে তোমরা নিয়ে গিয়ে তোমাদের আইন- কানুন মতে বিচার কর।”এতে যিহূদী নেতারা পীলাতকে বললেন, “কিন্তু কাউকে মৃত্যুর শাস্তি দেবার ক্ষমতা তো আমাদের হাতে নেই।”
32. কিভাবে নিজের মৃত্যু হবে যীশু আগেই তা বলেছিলেন। এটা ঘটল যাতে তাঁর সেই কথা পূর্ণ হয়।
33. তখন পীলাত আবার বাড়ীর মধ্যে ঢুকলেন এবং যীশুকে ডেকে বললেন, “তুমিই কি যিহূদীদের রাজা?”
34. যীশু বললেন, “আপনি কি নিজে থেকেই এই কথা বলছেন, না অন্যেরা আমার বিষয়ে আপনাকে বলেছে?”
35. পীলাত উত্তর দিলেন, “আমি কি যিহূদী? তোমার জাতির লোকেরা আর প্রধান পুরোহিতেরা তোমাকে আমার হাতে দিয়েছে। তুমি কি করেছ?”
36. যীশু বললেন, “আমার রাজ্য এই জগতের নয়। যদি আমার রাজ্য এই জগতের হত তবে আমি যাতে যিহূদী নেতাদের হাতে না পড়ি সেইজন্য আমার লোকেরা যুদ্ধ করত; কিন্তু আমার রাজ্য তো এখানকার নয়।”
37. পীলাত যীশুকে বললেন, “তাহলে তুমি কি রাজা?”যীশু বললেন, “আপনি ঠিকই বলেছেন যে, আমি রাজা। সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দেবার জন্য আমি জন্মেছি আর সেইজন্যই আমি জগতে এসেছি। যে কেউ সত্যের সে আমার কথা শোনে।”
38. পীলাত তাঁকে বললেন, “সত্য কি?” এই কথা বলে তিনি আবার বাইরে যিহূদী নেতাদের কাছে গিয়ে বললেন, “আমি এর কোনই দোষ দেখতে পাচ্ছি না।
39. তবে তোমাদের একটা নিয়ম আছে, উদ্ধার-পর্বের সময়ে আমি তোমাদের একজন কয়েদীকে ছেড়ে দিই। তোমরা কি চাও যে, আমি যিহূদীদের রাজাকে ছেড়ে দিই?”
40. এতে সকলে চেঁচিয়ে বলল, “ওকে নয়, বারাব্বাকে।” সেই বারাব্বা একজন ডাকাত ছিল।