6. এইভাবে যীশু যখন শিমোন-পিতরের কাছে আসলেন তখন পিতর তাঁকে বললেন, “প্রভু, আপনি কি আমার পা ধুইয়ে দেবেন?”
7. যীশু উত্তর দিলেন, “আমি যা করছি তা এখন তুমি বুঝতে পারছ না কিন্তু পরে বুঝতে পারবে।”
8. পিতর তাঁকে বললেন, “আপনি কখনও আমার পা ধুইয়ে দেবেন না।”যীশু পিতরকে বললেন, “যদি আমি তোমাকে ধুইয়ে না দিই তবে আমার সংগে তোমার কোন সম্বন্ধ নেই।”
9. তখন শিমোন-পিতর বললেন, “প্রভু, তাহলে কেবল আমার পা নয়, আমার হাত আর মাথাও ধুইয়ে দিন।”
10. যীশু তাঁকে বললেন, “যে স্নান করেছে তার পা ছাড়া আর কিছুই ধোওয়ার দরকার নেই, কারণ তার আর সব কিছু পরিষ্কার আছে।
11. তোমরা অবশ্য পরিষ্কার আছ, কিন্তু সকলে নও।” কে তাঁকে ধরিয়ে দেবে তা তিনি জানতেন। সেইজন্যই তিনি বললেন, “তোমরা সকলে পরিষ্কার নও।”
12. শিষ্যদের সকলের পা ধোওয়াবার পরে যীশু তাঁর উপরের কাপড় পরে আবার বসলেন এবং তাঁদের বললেন, “আমি কি করলাম তা কি তোমরা বুঝতে পারলে?
13. তোমরা আমাকে গুরু ও প্রভু বলে ডাক, আর তা ঠিকই বল কারণ আমি তা-ই।
14. কিন্তু আমি প্রভু আর গুরু হয়েও যখন তোমাদের পা ধুইয়ে দিলাম তখন তোমাদেরও একে অন্যের পা ধোওয়ানো উচিত।
15. আমি তোমাদের কাছে এটা করে দেখিয়েছি, যেন তোমাদের প্রতি আমি যা করলাম তোমরাও তা কর।
16. আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, দাস তার মনিব থেকে বড় নয়। যাকে পাঠানো হয়েছে সে তাঁর চেয়ে বড় নয় যিনি তাকে পাঠিয়েছেন।
17. এই সব জেনে যদি তা পালন কর তবে তোমরা ধন্য।
18. “আমি তোমাদের সকলের কথা বলছি না। আমি যাদের বেছে নিয়েছি তাদের তো আমি জানি। কিন্তু পবিত্র শাস্ত্রের এই কথা পূর্ণ হতেই হবে, ‘যে আমার সংগেই খাওয়া-দাওয়া করে, সে-ও আমার বিরুদ্ধে পা উঠিয়েছে।’
19. এটা ঘটবার আগেই আমি তোমাদের বলছি, যেন ঘটলে পর তোমরা বিশ্বাস করতে পার যে, আমিই সেই।
20. আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, আমি যাকে পাঠাই, যে তাকে গ্রহণ করে সে আমাকেই গ্রহণ করে, আর যে আমাকে গ্রহণ করে, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন সে তাঁকেই গ্রহণ করে।”
21. এই সব কথা বলবার পরে যীশু অন্তরে অস্থির হলেন। তিনি খোলাখুলিভাবে বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, তোমাদেরই মধ্যে একজন আমাকে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দেবে।”
22. যীশু কার কথা বলছেন তা বুঝতে না পেরে শিষ্যেরা একে অন্যের দিকে তাকাতে লাগলেন।