13. তোমরা আমাকে গুরু ও প্রভু বলে ডাক, আর তা ঠিকই বল কারণ আমি তা-ই।
14. কিন্তু আমি প্রভু আর গুরু হয়েও যখন তোমাদের পা ধুইয়ে দিলাম তখন তোমাদেরও একে অন্যের পা ধোওয়ানো উচিত।
15. আমি তোমাদের কাছে এটা করে দেখিয়েছি, যেন তোমাদের প্রতি আমি যা করলাম তোমরাও তা কর।
16. আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, দাস তার মনিব থেকে বড় নয়। যাকে পাঠানো হয়েছে সে তাঁর চেয়ে বড় নয় যিনি তাকে পাঠিয়েছেন।
17. এই সব জেনে যদি তা পালন কর তবে তোমরা ধন্য।
18. “আমি তোমাদের সকলের কথা বলছি না। আমি যাদের বেছে নিয়েছি তাদের তো আমি জানি। কিন্তু পবিত্র শাস্ত্রের এই কথা পূর্ণ হতেই হবে, ‘যে আমার সংগেই খাওয়া-দাওয়া করে, সে-ও আমার বিরুদ্ধে পা উঠিয়েছে।’
19. এটা ঘটবার আগেই আমি তোমাদের বলছি, যেন ঘটলে পর তোমরা বিশ্বাস করতে পার যে, আমিই সেই।
20. আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, আমি যাকে পাঠাই, যে তাকে গ্রহণ করে সে আমাকেই গ্রহণ করে, আর যে আমাকে গ্রহণ করে, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন সে তাঁকেই গ্রহণ করে।”
21. এই সব কথা বলবার পরে যীশু অন্তরে অস্থির হলেন। তিনি খোলাখুলিভাবে বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, তোমাদেরই মধ্যে একজন আমাকে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দেবে।”
22. যীশু কার কথা বলছেন তা বুঝতে না পেরে শিষ্যেরা একে অন্যের দিকে তাকাতে লাগলেন।
23. তাঁদের মধ্যে যাঁকে যীশু ভালবাসতেন তিনি যীশুর বুকের কাছেই ছিলেন।
24. শিমোন-পিতর তাঁকে ইশারা করে বললেন, “উনি কার কথা বলছেন জিজ্ঞাসা কর।”
25. সেই শিষ্য তখন যীশুর দিকে ঝুঁকে বললেন, “প্রভু, সে কে?”
26. যীশু উত্তর দিলেন, “এই রুটির টুকরাটা বাটিতে ডুবিয়ে যাকে দেব সে-ই সেই লোক।” আর তিনি রুটির টুকরাটা বাটিতে ডুবিয়ে শিমোন ইষ্কারিয়োতের ছেলে যিহূদাকে দিলেন।
27. রুটির টুকরাটা নেবার পরেই শয়তান যিহূদার মধ্যে ঢুকল।যীশু তাকে বললেন, “যা করবে তাড়াতাড়ি কর।”
28. যাঁরা যীশুর সংগে খাচ্ছিলেন তাঁরা কেউই বুঝলেন না কেন যীশু যিহূদাকে এই কথা বললেন।
29. কেউ কেউ ভাবলেন, পর্বের জন্য যা দরকার যীশু যিহূদাকে তা কিনে আনতে বললেন কিম্বা গরীবদের কিছু দিতে বললেন, কারণ তাঁদের টাকার বাক্স যিহূদার কাছেই থাকত।
30. রুটির টুকরাটা নেওয়ার সংগে সংগে যিহূদা বাইরে চলে গেল। তখন রাত হয়েছে।
31. যিহূদা বাইরে চলে যাওয়ার পর যীশু বললেন, “মনুষ্যপুত্রের মহিমা প্রকাশিত হবার সময় এসেছে এবং তাঁর মধ্যে ঈশ্বরের মহিমা প্রকাশ পাবে।