21. তারা ফিলিপের কাছে এসে তাঁকে অনুরোধ করে বলল, “এই যে শুনুন, আমরা যীশুকে দেখতে চাই।” ফিলিপ ছিলেন গালীল প্রদেশের বৈৎসৈদা গ্রামের লোক।
22. ফিলিপ গিয়ে কথাটা আন্দ্রিয়কে বললেন। পরে আন্দ্রিয় আর ফিলিপ গিয়ে যীশুকে বললেন।
23. যীশু তখন আন্দ্রিয় ও ফিলিপকে বললেন, “মনুষ্যপুত্রের মহিমা প্রকাশিত হবার সময় এসেছে।
24. আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, গমের বীজ মাটিতে পড়ে যদি না মরে তবে একটাই বীজ থাকে, কিন্তু যদি মরে তবে প্রচুর ফসল জন্মায়।
25. যে নিজের প্রাণকে বেশী ভালবাসে সে তার সত্যিকারের জীবন হারায়, কিন্তু যে এই জগতে তা করে না সে তার সত্যিকারের জীবন অনন্ত জীবনের জন্য রক্ষা করবে।
26. কেউ যদি আমার সেবা করতে চায় তবে সে আমার পথে চলুক। আমি যেখানে আছি আমার সেবাকারীও সেখানে থাকবে। কেউ যদি আমার সেবা করে তবে পিতা তাকে সম্মান দান করবেন।
27. “আমার মন এখন অস্থির হয়ে উঠেছে। আমি কি এই কথাই বলব, ‘পিতা, যে সময় এসেছে সেই সময়ের হাত থেকে আমাকে রক্ষা কর?’ কিন্তু এরই জন্য তো আমি এই সময় পর্যন্ত এসেছি।
28. পিতা, তোমার মহিমা প্রকাশ কর।”স্বর্গ থেকে তখন এই কথা শোনা গেল, “আমি আমার মহিমা প্রকাশ করেছি এবং আবার তা প্রকাশ করব।”
29. যে লোকেরা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল তারা তা শুনে বলল, “ওটা মেঘের ডাক।”কেউ কেউ আবার বলল, “কোন স্বর্গদূত উনার সংগে কথা বললেন।”
30. এতে যীশু বললেন, “এই কথা আমার জন্য বলা হয় নি, কিন্তু আপনাদের জন্যই বলা হয়েছে।
31. এই জগতের লোকদের বিচারের সময় এবার এসেছে, আর জগতের কর্তার হাত থেকে এখন প্রভুত্ব কেড়ে নেওয়া হবে।
32. আমাকে যখন মাটি থেকে উঁচুতে তোলা হবে তখন আমি সবাইকে আমার কাছে টেনে আনব।”
33. তাঁর কি রকমের মৃত্যু হবে তা বুঝাবার জন্য তিনি এই কথা বললেন।
34. তখন লোকেরা যীশুকে বলল, “আমরা পবিত্র শাস্ত্র থেকে শুনেছি মশীহ চিরকাল থাকবেন। তবে আপনি কি করে বলছেন যে, মনুষ্যপুত্রকে উঁচুতে তুলতে হবে? তাহলে এই মনুষ্যপুত্র কে?”
35. যীশু তাদের বললেন, “আর অল্প সময়ের জন্য আলো আপনাদের সংগে সংগে আছে। আলো আপনাদের কাছে থাকতে থাকতেই চলতে থাকুন যেন অন্ধকার আপনাদের জয় করতে না পারে। যে অন্ধকারে চলে সে কোথায় যাচ্ছে তা জানে না।
36. আলো আপনাদের কাছে থাকতে থাকতেই আলোর উপর বিশ্বাস করুন যেন আপনারা সেই আলোর লোক হতে পারেন।”এই সব কথা বলবার পর যীশু লোকদের কাছ থেকে চলে গিয়ে নিজেকে গোপন করলেন।