2. কিন্তু যে কেউ দরজা দিয়ে ভিতরে যায় সে-ই মেষদের পালক।
3. মেষের খোঁয়াড় যে পাহারা দেয় সে সেই পালককেই দরজা খুলে দেয়। মেষগুলো তার ডাক শোনে, আর সেই পালক তার নিজের মেষগুলোর নাম ধরে ডেকে বাইরে নিয়ে যায়।
4. তার নিজের সব মেষগুলো বের করবার পরে সে তাদের আগে আগে চলে, আর মেষগুলো তার পিছনে পিছনে যায় কারণ তারা তার ডাক চেনে।
5. তারা কখনও অচেনা লোকের পিছনে যাবে না বরং তার কাছ থেকে পালিয়ে যাবে, কারণ তারা অচেনা লোকের গলার স্বর চেনে না।”
6. সেই ফরীশীদের শিক্ষা দেবার জন্য যীশু এই কথা বললেন কিন্তু তিনি যে কি বলছিলেন তা তাঁরা বুঝলেন না।
7. সেইজন্য যীশু আবার বললেন, “আমি আপনাদের সত্যিই বলছি, মেষগুলোর জন্য আমিই দরজা।
8. আমার আগে যারা এসেছিল তারা সবাই চোর আর ডাকাত, কিন্তু মেষগুলো তাদের কথা শোনে নি।
9. আমিই দরজা। যদি কেউ আমার মধ্য দিয়ে ভিতরে ঢোকে তবে সে উদ্ধার পাবে। সে ভিতরে আসবে ও বাইরে যাবে আর চরে খাবার জায়গা পাবে।
12-13. কেবল বেতনের জন্য যে পালকের কাজ করে সে নিজে পালক নয় আর মেষগুলোও তার নিজের নয়। নেকড়ে বাঘ আসতে দেখলেই সে মেষগুলো ফেলে পালিয়ে যায়, কারণ সে কেবল বেতন পাবার জন্য এই কাজ করে আর মেষগুলোর জন্য চিন্তাও করে না। নেকড়ে বাঘ তাদের ধরে নিয়ে যায় আর মেষগুলো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
14-15. “আমিই উত্তম মেষপালক। পিতা যেমন আমাকে জানেন এবং আমি পিতাকে জানি তেমনি করে আমিও আমার মেষগুলোকে জানি এবং তারাও আমাকে জানে। আমি আমার মেষগুলোর জন্য আমার জীবন দিয়ে দিচ্ছি।
16. আরও মেষ আমার কাছে আছে যেগুলো এই খোঁয়াড়ের নয়; তাদেরও আমাকে আনতে হবে। তারা আমার ডাক শুনবে, আর তাতে একটা মেষপাল ও একজন পালক হবে।
17. পিতা আমাকে এইজন্য ভালবাসেন, কারণ আমি আমার প্রাণ দেব যেন তা আবার ফিরিয়ে নিতে পারি।
18. কেউই আমার প্রাণ আমার কাছ থেকে নিয়ে যাবে না, কিন্তু আমি নিজেই তা দেব। প্রাণ দেবারও ক্ষমতা আমার আছে, আবার প্রাণ ফিরিয়ে নেবারও ক্ষমতা আমার আছে। এই দায়িত্ব আমি আমার পিতার কাছ থেকে পেয়েছি।”
19. যীশুর এই কথার জন্য যিহূদীদের মধ্যে আবার মতের অমিল দেখা দিল।
20. তাদের মধ্যে অনেকে বলল, “তাকে ভূতে পেয়েছে, সে পাগল; তোমরা তার কথা কেন শুনছ?”
21. অন্যেরা বলল, “কিন্তু এ তো ভূতে পাওয়া লোকের মত কথা নয়। ভূত কি অন্ধের চোখ খুলে দিতে পারে?”
22. এর পরে যিরূশালেমে উপাসনা-ঘর প্রতিষ্ঠার পর্ব উপস্থিত হল। তখন শীতকাল।
23. যীশু উপাসনা-ঘরের মধ্যে শলোমনের বারান্দায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন।
24. সেই সময় যিহূদী নেতারা যীশুর চারপাশে জড়ো হয়ে বললেন, “আর কত দিন তুমি আমাদের সন্দেহের মধ্যে রাখবে? তুমি যদি মশীহ হও তবে স্পষ্ট করে আমাদের বল।”
25. যীশু উত্তরে বললেন, “আমি তো আপনাদের বলেছি, কিন্তু আপনারা বিশ্বাস করেন না। আমার পিতার নামে আমি যে সব কাজ করি সেগুলোও আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দেয়।
26. কিন্তু আপনারা বিশ্বাস করেন না, কারণ আপনারা আমার মেষ নন।
27. আমার মেষগুলো আমার ডাক শোনে। আমি তাদের জানি আর তারা আমার পিছনে পিছনে চলে।