32. তারপর যোহন এই সাক্ষ্য দিলেন, “আমি পবিত্র আত্মাকে কবুতরের মত হয়ে স্বর্গ থেকে নেমে এসে তাঁর উপরে থাকতে দেখেছি।
33. আমি তাঁকে চিনতাম না, কিন্তু যিনি আমাকে জলে বাপ্তিস্ম দিতে পাঠিয়েছেন তিনিই আমাকে বলে দিয়েছেন, ‘যাঁর উপরে পবিত্র আত্মাকে নেমে এসে থাকতে দেখবে, তিনিই সেই জন যিনি পবিত্র আত্মাতে বাপ্তিস্ম দেবেন।’
34. আমি তা দেখেছি আর সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, ইনিই ঈশ্বরের পুত্র।”
35. পরের দিন যোহন ও তাঁর দু’জন শিষ্য আবার সেখানে ছিলেন।
36. এমন সময় যীশুকে হেঁটে যেতে দেখে যোহন বললেন, “ঐ দেখ, ঈশ্বরের মেষ-শিশু।”
37. যোহনকে এই কথা বলতে শুনে সেই দু’জন শিষ্য যীশুর পিছনে পিছনে যেতে লাগলেন।
38. যীশু পিছন ফিরে তাঁদের আসতে দেখে বললেন, “তোমরা কিসের খোঁজ করছ?”যোহনের শিষ্যেরা জিজ্ঞাসা করলেন, “রব্বি (অর্থাৎ গুরু), আপনি কোথায় থাকেন?”
39. যীশু তাঁদের বললেন, “এসে দেখ।” তখন তাঁরা গিয়ে যীশু যেখানে থাকতেন সেই জায়গাটা দেখলেন এবং সেই দিন তাঁর সংগেই রইলেন। তখন প্রায় বিকাল চারটা।
40. যোহনের কথা শুনে যে দু’জন যীশুর পিছনে পিছনে গিয়েছিলেন তাঁদের একজনের নাম ছিল আন্দ্রিয়। ইনি ছিলেন শিমোন- পিতরের ভাই।
41. আন্দ্রিয় প্রথমে তাঁর ভাই শিমোনকে খুঁজে বের করলেন এবং বললেন, “আমরা মশীহের (অর্থাৎ খ্রীষ্টের) দেখা পেয়েছি।”
42. আন্দ্রিয় শিমোনকে যীশুর কাছে আনলেন।যীশু শিমোনের দিকে তাকিয়ে বললেন, “তুমি যোহনের ছেলে শিমোন, কিন্তু তোমাকে কৈফা বলে ডাকা হবে।” এই নামের অর্থ পিতর, অর্থাৎ পাথর।
43. পরের দিন যীশু ঠিক করলেন তিনি গালীল প্রদেশে যাবেন। সেই সময় যীশু ফিলিপের খোঁজ পেয়ে তাঁকে বললেন, “এস, আমার শিষ্য হও।”
44. ফিলিপ ছিলেন বৈৎসৈদা গ্রামের লোক। আন্দ্রিয় আর পিতরও ঐ একই গ্রামের লোক ছিলেন।