19. এই কথা শুনে যিহোশূয় লোকদের বললেন, “কিন্তু তোমরা তাঁর সেবা করতে পারবে না, কারণ তিনি পবিত্র ঈশ্বর, তাঁর পাওনা ভক্তি তিনি আর কাউকে পেতে দেবেন না। তোমাদের বিদ্রোহ ও তোমাদের পাপ তিনি ক্ষমা করবেন না।
20. তোমরা যদি সদাপ্রভুকে ত্যাগ করে দেব-দেবতার সেবা কর তবে তিনি তোমাদের দিক থেকে ফিরবেন এবং যদিও তিনি আগে তোমাদের মংগল করেছেন কিন্তু তখন তোমাদের উপর অমংগল এনে তোমাদের শেষ করে দেবেন।”
21. এতে লোকেরা যিহোশূয়কে বলল, “না, আমরা সদাপ্রভুরই সেবা করব।”
22. তখন যিহোশূয় বললেন, “এই কথার দ্বারা তোমরা নিজেরাই নিজেদের সাক্ষী হয়ে রইলে যে, সদাপ্রভুকেই তোমরা সেবা করবার জন্য বেছে নিয়েছ।”উত্তরে তারা বলল, “হ্যাঁ, আমরা সাক্ষী রইলাম।”
23. যিহোশূয় বললেন, “তাহলে তোমাদের মধ্যে যে সব দেব-দেবতা আছে তা এখনই তোমরা দূর করে দাও এবং ইস্রায়েলীয়দের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উপরেই তোমাদের মন রাখ।”
24. তখন সবাই যিহোশূয়কে বলল, “আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুরই সেবা করব এবং তাঁরই আদেশ পালন করব।”
25. যিহোশূয় সেই দিন ইস্রায়েলীয়দের জন্য একটা ব্যবস্থা স্থির করলেন এবং শিখিমে আইন ও নিয়ম পালন করবার জন্য তাদের নির্দেশ দিলেন।
26. সমস্ত কিছু তিনি ঈশ্বরের আইন-কানুনের একটা বইয়ে লিখে রাখলেন। তিনি একটা বড় পাথর নিয়ে সদাপ্রভুর পবিত্র জায়গার কাছে এলোন গাছের তলায় স্থাপন করলেন।
27. পরে তিনি সমস্ত লোকদের বললেন, “এই পাথরটা আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী হয়ে থাকবে। সদাপ্রভু আমাদের কাছে যে সব কথা বলেছেন তা এই পাথরটা শুনেছে। যদি তোমরা তোমাদের ঈশ্বরকে অস্বীকার কর তবে এটা তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে।”
28. এর পর যিহোশূয় সবাইকে তাদের নিজের নিজের জায়গা-জমিতে পাঠিয়ে দিলেন।
29. এই সব ঘটনার পর সদাপ্রভুর দাস নূনের ছেলে যিহোশূয় একশো দশ বছর বয়সে মারা গেলেন।
30. লোকেরা গাশ পাহাড়ের উত্তরে তাঁর সম্পত্তির মধ্যে, অর্থাৎ ইফ্রয়িমের পাহাড়ী এলাকার তিম্নৎ-সেরহে তাঁকে কবর দিল।
31. যিহোশূয়ের জীবনকালে এবং তাঁর পরে যে সব বৃদ্ধ নেতারা ইস্রায়েলীয়দের জন্য সদাপ্রভু যা কিছু করেছিলেন তা দেখেছিলেন তাঁদের জীবনকালে ইস্রায়েলীয়েরা সদাপ্রভুর সেবা করেছিল।
32. যোষেফের হাড়গুলো, যা ইস্রায়েলীয়েরা মিসর দেশ থেকে নিয়ে এসেছিল, সেগুলো তারা শিখিমে কবর দিয়ে রেখেছিল। যাকোব এই জায়গাটা শিখিমের বাবা হমোরের ছেলেদের কাছ থেকে একশো কসীতা দিয়ে কিনে নিয়েছিলেন। এই জায়গাটা যোষেফের বংশধরদের সম্পত্তির মধ্যে পড়েছিল।