32. ষষ্ঠ বার গুলিবাঁট করলে পর নপ্তালি-গোষ্ঠীর নাম উঠল এবং তার বিভিন্ন বংশের জায়গা ঠিক করে দেওয়া হল।
33. তাদের জায়গার সীমারেখা হেলফ এবং সানন্নীমের এলোন গাছ থেকে শুরু হয়ে অদামী-নেকব ও যব্নিয়েল পেরিয়ে লক্কুম পর্যন্ত গেল এবং যর্দন নদীতে গিয়ে শেষ হল।
34. তারপর সেই সীমারেখাটা পশ্চিম দিকে গিয়ে অস্নোৎ-তাবোরের মধ্য দিয়ে হুক্কোকে বের হয়ে আসল। দক্ষিণে সবূলূন-গোষ্ঠীর সীমা পর্যন্ত, পশ্চিমে আশের-গোষ্ঠীর সীমা পর্যন্ত এবং পূর্ব দিকে যর্দনের কাছে যিহূদা পর্যন্ত ছিল নপ্তালি-গোষ্ঠীর সীমানা।
35. তাদের জায়গার মধ্যে এই দেয়াল-ঘেরা গ্রামগুলো ছিল: সিদ্দীম, সের, হম্মৎ, রক্কৎ, কিন্নেরৎ,
36. অদামা, রামা, হাৎসোর,
37. কেদশ, ইদ্রিয়ী, ঐন্-হাৎসোর,
38. যিরোণ, মিগ্দল-এল, হোরেম, বৈৎ-অনাৎ ও বৈৎ-শেমশ। ঊনিশটা শহর ও সেুগলোর আশেপাশের গ্রাম তাদের ভাগে পড়ল।
39. এই সব শহর ও সেগুলোর আশেপাশের গ্রাম নপ্তালি-গোষ্ঠীর বিভিন্ন বংশের সম্পত্তি হল।
40. সপ্তম বার গুলিবাঁট করলে পর দান-গোষ্ঠীর নাম উঠল এবং তার বিভিন্ন বংশের জায়গা ঠিক করে দেওয়া হল।
41. তাদের সম্পত্তির মধ্যে পড়ল: সরা, ইষ্টায়োল, ঈর্-শেমশ,
42-44. শালবীন, অয়ালোন, যিৎলা, এলোন, তিম্না, ইক্রোণ, ইল্তকী, গিব্বথোন, বালৎ,
45. যিহূদ, বনে-বরক, গাৎ-রিম্মোণ,
46. মেয়র্কোণ, রক্কোন এবং যাফোর সামনের এলাকা।
47. দান-গোষ্ঠী তাদের ভাগের জায়গাটার সবটুকুর দখল নেয় নি বলে তাদের পক্ষে জায়গাটা ছোট হয়েছিল। সেইজন্য তারা লেশম শহরটা আক্রমণ করে সেখানকার লোকদের হারিয়ে দিল এবং সবাইকে মেরে ফেলে তা দখল করল। তারা লেশমে বাস করতে লাগল এবং তাদের পূর্বপুরুষের নাম অনুসারেই সেই জায়গাটার নাম রাখল “দান।”
48. এই সব শহর ও সেগুলোর আশেপাশের গ্রাম দান-গোষ্ঠীর বিভিন্ন বংশের সম্পত্তি হল।
49-50. দেশটা ভাগ করে দেওয়া শেষ হয়ে গেলে পর ইস্রায়েলীয়েরা সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে নূনের ছেলে যিহোশূয়কে দেশের মধ্যে একটা সম্পত্তি দিল। তারা তাঁকে ইফ্রয়িম-গোষ্ঠীর জায়গার মধ্যে পাহাড়ী এলাকার তিম্নৎ-সেরহ গ্রামটা দিল। তিনি ঐ গ্রামটাই চেয়েছিলেন। সেটা নতুনভাবে তৈরী করে নিয়ে যিহোশূয় সেখানে বাস করতে লাগলেন।
51. পুরোহিত ইলিয়াসর, নূনের ছেলে যিহোশূয় এবং ইস্রায়েলীয়দের ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীর বংশ-কর্তারা শীলোতে মিলন-তাম্বুর দরজার কাছে সদাপ্রভুর সামনে গুলিবাঁট করে এই সব জায়গাগুলোই ঠিক করে দিয়েছিলেন। এইভাবেই তাঁরা দেশটা ভাগ করবার কাজ শেষ করলেন।