6. কারণ মনঃশি-গোষ্ঠীর এই মেয়েরা তাদের গোষ্ঠীর ছেলেদের সংগে সম্পত্তির অধিকার পেল; আর মনঃশি-গোষ্ঠীর বাকী বংশধরেরা গিলিয়দ এলাকাটা পেল।
7. মনঃশি-গোষ্ঠীর জায়গার সীমারেখা আশের থেকে শুরু হয়ে শিখিমের কাছে মিক্মথৎ পর্যন্ত গেল। তারপর সেটা দক্ষিণ দিকে গেল, যার ফলে ঐন্-তপূহের বাসিন্দারা মনঃশি-গোষ্ঠীর এলাকার মধ্যে পড়ে গেল।
8. তপূহের আশেপাশের জায়গা অবশ্য মনঃশি-গোষ্ঠীর ভাগে পড়েছিল কিন্তু মনঃশি-গোষ্ঠীর সীমারেখার সংগে লাগানো তপূহ শহরটা ইফ্রয়িম-গোষ্ঠীর অধিকারে পড়ল।
9. তারপর সেই সীমারেখাটা দক্ষিণে কান্না শুকনা নদী পর্যন্ত নেমে গেল। ইফ্রয়িম-গোষ্ঠীর কতগুলো শহর ও গ্রাম মনঃশি-গোষ্ঠীর সীমানায় পড়ে গিয়েছিল। মনঃশি-গোষ্ঠীর সীমারেখা সেই শুকনা নদীর উত্তর দিক দিয়ে গিয়ে শেষ হয়েছিল ভুমধ্য সাগরে।
10. শুকনা নদীর দক্ষিণে ছিল ইফ্রয়িম-গোষ্ঠীর জায়গা আর উত্তরে ছিল মনঃশি-গোষ্ঠীর জায়গা। মনঃশি-গোষ্ঠীর পশ্চিম সীমানা ছিল ভূমধ্য সাগর, উত্তরে ছিল আশের-গোষ্ঠীর সীমানা এবং পূর্ব দিকে ছিল ইষাখর-গোষ্ঠীর সীমানা।
11. ইষাখর ও আশের-গোষ্ঠীর সীমানার মধ্যেকার বৈৎ-শান, যিব্লিয়ম ও সেগুলোর আশেপাশের সব গ্রাম মনঃশি-গোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া দোর, ঐন্-দোর, তানক ও মগিদ্দোর লোক সুদ্ধ এই সব শহর এবং সেগুলোর আশেপাশের সব গ্রাম মনঃশি-গোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল। শেষ তিনটা শহর ও তাদের সংগেকার গ্রামগুলো ছিল পাহাড়ী এলাকায়।
12. মনঃশি-গোষ্ঠীর লোকেরা কিন্তু ঐ সব শহর ও গ্রাম দখল করতে পারে নি, কারণ কনানীয়েরা স্থির করেছিল যে, তারা ঐ জায়গা ছেড়ে যাবে না।
13. তবে ইস্রায়েলীয়েরা যখন শক্তিশালী হয়ে উঠল তখন তারা কনানীয়দের তাদের দাস হিসাবে কাজ করতে বাধ্য করেছিল। কিন্তু দেশ থেকে তাদের সবাইকে তারা তাড়িয়ে দিল না।
14. যোষেফ-গোষ্ঠীর লোকেরা গিয়ে যিহোশূয়কে বলল, “সম্পত্তি হিসাবে কেন আপনি আমাদের মাত্র একটা ভাগ দিয়েছেন? সদাপ্রভুর আশীর্বাদে আমাদের লোকসংখ্যা অনেক।”
15. উত্তরে যিহোশূয় বললেন, “লোকসংখ্যা যদি তোমাদের এতই বেশী এবং ইফ্রয়িমের পাহাড়ী এলাকাতে যদি তোমাদের না কুলায় তবে পরীষীয় ও রফায়ীয়দের দেশের বন-জংগল কেটে ফেলে নিজেদের জন্য জমি তৈরী করে নাও।”
16. যোষেফ-গোষ্ঠীর লোকেরা উত্তরে বলল, “পাহাড়ী এলাকার জায়গায় আমাদের কুলায় না এবং যে সব কনানীয়েরা সমভূমির বৈৎ-শান ও তার আশেপাশের গ্রামগুলোতে এবং যিষ্রিয়েল উপত্যকায় বাস করে তাদের সকলেরই লোহার রথ আছে।”
17. যিহোশূয় যোষেফের বংশধরদের, অর্থাৎ ইফ্রয়িম ও মনঃশি-গোষ্ঠীর লোকদের বললেন, “তোমাদের লোকও বেশী, শক্তিও বেশী। তোমরা কেবল একটা ভাগ পাবে না।
18. বন-জংগলে ভরা পাহাড়ী এলাকাটাও তোমরা পাবে। তোমাদের সেটা কেটে পরিষ্কার করে নিতে হবে। জংগল ও তার সংগেকার সব জমিজমা তোমাদের অধিকারে থাকবে। কনানীয়দের লোহার রথ থাকলেও এবং তারা শক্তিশালী হলেও তোমরা তাদের তাড়িয়ে দেবে।”