7. সেখানে পৌঁছে আমি নদীর দু’ধারেই অনেক গাছপালা দেখতে পেলাম।
8. তিনি আমাকে বললেন, “এই জল পূর্ব দিকে বয়ে যাচ্ছে এবং অরাবার মধ্য দিয়ে মরু-সাগরে গিয়ে পড়ছে। যখন সেটা গিয়ে সাগরে পড়ে তখন সেখানকার জল মিষ্টি হয়ে যায়।
9. যেখান দিয়ে এই নদীটা বয়ে যাবে সেখানে সব রকমের ঝাঁক-বাঁধা জীবন্ত প্রাণী ও প্রচুর মাছ বাস করবে। এই জল যেখান দিয়ে বয়ে যাবে সেখানকার জল মিষ্টি করে তুলবে; কাজেই যেখান দিয়ে নদীটা বয়ে যাবে সেখানকার সব কিছুই বাঁচবে।
10. জেলেরা নদীর কিনারায় দাঁড়াবে; ঐন্-গদী থেকে ঐন্-ইগ্লয়িম পর্যন্ত জাল মেলে দেবার জায়গা হবে। ভূমধ্য সাগরের মাছের মত সেখানেও নানা রকমের অনেক মাছ পাওয়া যাবে।
11. কিন্তু জলা জায়গা ও বিলের জল মিষ্টি হবে না; সেগুলো লবণের জন্য থাকবে।
12. নদীর দুই ধারেই সব রকমের ফলের গাছ জন্মাবে। সেগুলোর পাতা শুকিয়ে যাবে না, ফলও শেষ হবে না। প্রতি মাসেই তাতে ফল ধরবে, কারণ উপাসনা-ঘর থেকে সেখানে জল বয়ে আসবে। সেগুলোর ফল খাবার জন্য আর পাতা সুস্থ হবার জন্য ব্যবহার করা হবে।”
15. “দেশের সীমানা হবে এই: উত্তর দিকের সীমানা হবে ভূমধ্য সাগর থেকে লেবো-হমাৎ ছাড়িয়ে হিৎলোনের রাস্তা বরাবর সদাদ পর্যন্ত;
16. সেখান থেকে দামেস্ক ও হমাতের সীমানার মধ্যে থাকা বরোথা ও সিব্রয়িম পর্যন্ত; সেখান থেকে হৌরণের সীমানার পাশের হৎসর-হত্তীকোন পর্যন্ত।
17. এই সীমানা চলে যাবে ভুমধ্য সাগর থেকে দামেস্কের উত্তর সীমার পাশে হৎসোর-ঐনন পর্যন্ত, অর্থাৎ হমাতের সীমানা পর্যন্ত। এটাই হবে উত্তর দিকের সীমানা।
18. পূর্ব দিকের সীমানা হৌরণ ও দামেস্কের মধ্য দিয়ে গিলিয়দ ও ইস্রায়েল দেশের মধ্যেকার যর্দন নদী বরাবর গিয়ে মরু-সাগর পর্যন্ত চলে যাবে। এটাই হবে পূর্ব দিকের সীমানা।
19. দক্ষিণ দিকের সীমানা মরু-সাগরের তামর থেকে কাদেশের মরীবৎ জল পর্যন্ত গিয়ে মিসরের শুকনা নদী বরাবর ভূমধ্য সাগর পর্যন্ত চলে যাবে। এটাই হবে দক্ষিণের সীমানা।