8. আমি দেখলাম, উপাসনা-ঘরটা একটা উঁচু সমান জায়গার উপর রয়েছে এবং সেটাই ছিল উপাসনা-ঘর ও কামরাগুলোর ভিত্তি। সেই ভিত্তি এক মাপকাঠি, অর্থাৎ ছয় হাত উঁচু ছিল এবং কামরাগুলো থেকে পাঁচ হাত বাড়ানো ছিল।
11. উপাসনা-ঘরের পাশের কামরাগুলোতে ঢুকবার জন্য উত্তর দিকে একটা ও দক্ষিণ দিকে আর একটা দরজা ছিল এবং সেই দু’টা দরজা খোলা জায়গার দিকে মুখ করা ছিল। ভিত্তির সেই পাঁচ হাত বাড়ানো অংশটা ছিল দরজা দু’টার কাছে যাবার পথ।
12. উপাসনা-ঘরের পশ্চিম দিকে খোলা জায়গার শেষ সীমায় একটা দালান ছিল। সেটা সত্তর হাত চওড়া এবং নব্বই হাত লম্বা ছিল। তার চারপাশের দেয়ালগুলো ছিল পাঁচ হাত মোটা।
13. তারপর তিনি উপাসনা-ঘরটা মাপলেন; সেটা ছিল লম্বায় একশো হাত এবং উপাসনা-ঘর থেকে খোলা জায়গা ও পিছনের দেয়াল সুদ্ধ দালানটা লম্বায় ছিল একশো হাত।
14. পূর্ব দিকে উপাসনা-ঘরের সামনে যে খোলা জায়গা ছিল তা লম্বায় ছিল একশো হাত।
19. একটা মানুষের মুখ ও অন্যটা সিংহের মুখ; মানুষের মুখ একটা খেজুর গাছের দিকে ও সিংহের মুখ অন্য খেজুর গাছের দিকে। গোটা উপাসনা-ঘরটার দেয়ালের চারদিকে এগুলো খোদাই করা ছিল।
20. প্রত্যেকটি কামরার দেয়ালে মেঝে থেকে শুরু করে ঢুকবার মুখের উপরের জায়গা পর্যন্ত সব জায়গায় করূব ও খেজুর গাছ খোদাই করা ছিল।
21. প্রধান কামরার দরজার ফ্রেমটা চৌকোণা ছিল এবং মহাপবিত্র স্থানের দরজাটাও একই রকম ছিল।
22. প্রধান কামরায় তিন হাত উঁচু, দু’হাত লম্বা ও দু’হাত চওড়া কাঠের একটা বেদী ছিল; এর চার কোণা, ভিত্তি ও চারপাশ ছিল কাঠের তৈরী। তিনি আমাকে বললেন, “এটা হচ্ছে সেই টেবিল যেটা সদাপ্রভুর সামনে রয়েছে।”
23. প্রধান কামরা ও মহাপবিত্র স্থানে একটা করে দুই পাল্লার দরজা ছিল।
24. প্রত্যেকটা পাল্লা দু’টা তক্তা দিয়ে তৈরী; তক্তা দু’টা কব্জার উপরে ঘোরে।
25. প্রধান কামরার দরজার পাল্লা দু’টার উপরে দেয়ালের মতই করূব ও খেজুর গাছ খোদাই করা ছিল। বারান্দায় ঢুকবার মুখের ছাদের নীচে একটা বীম ছিল।
26. বারান্দার জালি দেওয়া জানলাগুলোর দু’পাশে ও বাজুগুলোতে খেজুর গাছ খোদাই করা ছিল। এছাড়া উপাসনা-ঘরের বীমগুলোতে ও পাশের কামরাগুলোতেও খেজুর গাছ খোদাই করা ছিল।