17. তুমি নীরবে দীর্ঘনিঃশ্বাস ছাড়বে। তুমি মৃতের জন্য শোক প্রকাশ কোরো না। তুমি পাগড়ী বেঁধো ও পায়ে চটি দিয়ো; তোমার মুখের নীচের অংশ ঢেকো না কিম্বা লোকদের পাঠানো খাবার খেয়ো না।”
18. আমি সকালবেলা লোকদের সংগে কথা বললাম আর সন্ধ্যাবেলা আমার স্ত্রী মারা গেলেন। পরদিন সকালে আমি সদাপ্রভুর আদেশ মত কাজ করলাম।
19. তখন লোকেরা আমাকে জিজ্ঞাসা করল, “আপনি যা করছেন আমাদের জন্য তার অর্থ কি? তা কি আমাদের বলবেন না?”
20-21. কাজেই আমি তাদের বললাম যে, প্রভু সদাপ্রভু আমাকে ইস্রায়েলীয়দের এই কথা বলতে বলছেন, “আমার ঘর, যা তোমাদের শক্তির অহংকার, যা তোমাদের চোখের সুখ ও তোমাদের মমতার জিনিস, সেটাকেই আমি অপবিত্র করাব। তোমাদের যে সব ছেলেমেয়েদের তোমরা ফেলে গেছ তারা যুদ্ধে মারা পড়বে।
22. তখন যিহিষ্কেল যা করেছে তোমরাও তা-ই করবে। মুখের নীচের অংশটা তোমরা ঢাকবে না কিম্বা লোকদের পাঠানো খাবার খাবে না।
23. তোমাদের মাথায় তোমরা পাগড়ী বাঁধবে এবং পায়ে চটি দেবে। তোমরা বিলাপ করবে না বা কাঁদবে না, কিন্তু নিজের নিজের পাপের জন্য দুর্বল হয়ে যাবে এবং একে অন্যের কাছে কোঁকাবে।
24. যিহিষ্কেল তোমাদের কাছে একটা চিহ্নের মত হবে; সে যা করেছে তোমরা ঠিক তা-ই করবে। যখন এটা ঘটবে তখন তোমরা জানবে যে, আমিই প্রভু সদাপ্রভু।”
25. সদাপ্রভু আমাকে আরও বললেন, “হে মানুষের সন্তান, যেদিন আমি তাদের সেই শক্তির অহংকার, তাদের আনন্দ ও গৌরব, তাদের চোখের সুখ, তাদের অন্তরের চাওয়া এবং তাদের ছেলেমেয়েদেরও নিয়ে নেব,
26. সেই দিন একজন পালিয়ে আসা লোক তোমাকে খবর দিতে আসবে।
27. সেই সময় তোমার মুখ খুলে যাবে; তুমি তার সংগে কথা বলবে, তোমার জিভ্ আর আট্কানো থাকবে না। এইভাবে তুমি তাদের কাছে একটা চিহ্ন হবে আর তারা জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু।”