7. আমি তোমাকে ক্ষেতের চারার মত বড় করে তুললাম। তুমি বেড়ে উঠে কিশোরী হলে, তোমার বুক গড়ে উঠল, লোম গজাল, কিন্তু তুমি উলংগিনী ও কাপড় ছাড়াই ছিলে।
8. “‘পরে আমি তোমার পাশ দিয়ে যাবার সময় তোমার দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে, তোমার এখন প্রেম করবার সময় হয়েছে; সেইজন্য আমার পোশাকের অংশ আমি তোমার উপরে বিছিয়ে তোমার উলংগতা ঢেকে দিলাম। আমি তোমার কাছে শপথ করে তোমার সংগে বিয়ের চুক্তি করলাম, আর তাতে তুমি আমার হলে।
9. আমি তোমাকে জলে স্নান করিয়ে তোমার রক্ত ধুয়ে দিলাম এবং গায়ে তেল লাগিয়ে দিলাম।
10. আমি তোমার গায়ে নক্শা তোলা কাপড় দিলাম ও পায়ে শুশুকের চামড়ার সুন্দর চটি পরালাম। আমি তোমার মাথায় পাতলা মসীনার কাপড় জড়ালাম এবং রেশমের কাপড় দিয়ে তোমাকে ঢেকে দিলাম।
11. আমি গহনা দিয়ে তোমাকে সাজালাম; তোমার হাতে চুড়ি, গলায় হার,
12. নাকে নোলক, কানে দুল ও মাথায় সুন্দর একটা মুকুট দিলাম।
13. এইভাবে সোনা ও রূপা দিয়ে তোমাকে সাজানো হল; তোমার কাপড়-চোপড় ছিল পাতলা মসীনার, রেশমের ও নক্শা তোলা কাপড়ের। তোমার খাবার ছিল মিহি ময়দা, মধু ও জলপাইয়ের তেল। তুমি খুব সুন্দরী হয়ে উঠে রাণীর মত হলে।
14. তোমার সৌন্দর্যের জন্য তোমার সুনাম জাতিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল, কারণ আমার দেওয়া জাঁকজমকে তোমার সৌন্দর্য পরিপূর্ণ হয়েছিল।
15. “‘কিন্তু তুমি তোমার সৌন্দর্যের সুনাম বেশ্যা হবার জন্য ব্যবহার করেছ। যে কেউ তোমার পাশ দিয়ে যেত তার সংগে তুমি ব্যভিচার করতে এবং সে তোমাকে ভোগ করত।
16. তোমার কোন কোন কাপড় নিয়ে তুমি পূজার উঁচু স্থান সাজিয়ে সেখানে তোমার বেশ্যার কাজ চালাতে লাগলে। ঐ রকম কাজ করা তোমার কখনও উচিত ছিল না।
17. আমার সোনা-রূপা দিয়ে তৈরী গহনা, যা আমি তোমাকে দিয়েছিলাম, সেই সুন্দর গহনা নিয়ে তুমি নিজের জন্য পুরুষ-প্রতিমা তৈরী করে সেগুলোর সংগে ব্যভিচার করতে।