5. করূবদের ডানার আওয়াজ বাইরের উঠান পর্যন্ত শোনা যাচ্ছিল; সেই আওয়াজটা ছিল সর্বশক্তিমান সদাপ্রভুর কথা বলবার আওয়াজের মত।
6. সদাপ্রভু যখন মসীনার কাপড় পরা লোকটিকে এই আদেশ দিয়েছিলেন, “তুমি করূবদের মাঝখানে চাকার মধ্য থেকে আগুন নাও,” তখন লোকটি ভিতরে গিয়ে একটা চাকার পাশে দাঁড়ালেন।
9. পরে আমি তাকিয়ে করূবদের প্রত্যেকের পাশে একটা করে মোট চারটা চাকা দেখতে পেলাম; চাকাগুলো বৈদুর্যমণির মত ঝক্মক করছিল।
10. সেই চারটা চাকা দেখতে একই রকম ছিল; একটা চাকার ভিতরে যেন আর একটা চাকা।
11. চলবার সময় সেই চাকাগুলো চারদিকের যে কোন দিকে সোজা চলত; অন্য কোন দিকে ফিরত না। করূবদের মাথা যে দিকে থাকত তাঁরা সেদিকেই চলতেন; চলবার সময় ফিরতেন না।
12. তাঁদের চারটা চাকাতে, গোটা দেহে, পিঠে, হাতে এবং ডানার চারপাশ চোখে ভরা ছিল।
13. আমি শুনলাম চাকাগুলোকে “ঘুরন্ত চাকা” বলে ডাকা হচ্ছে।
14. প্রত্যেকটি করূবের চারটা করে মুখ ছিল- প্রথমটা করূবের, দ্বিতীয়টা মানুষের, তৃতীয়টা সিংহের এবং চতুর্থটা ঈগল পাখীর।
15. তারপর সেই করূবেরা উপরের দিকে উঠলেন। এঁরাই সেই জীবন্ত প্রাণী যাঁদের আমি কবার নদীর ধারে দেখতে পেয়েছিলাম।
16. করূবেরা চললে তাঁদের পাশে চাকাগুলোও চলত; করূবেরা মাটি ছেড়ে উপরে উঠবার জন্য ডানা মেললে চাকাগুলো তাঁদের পাশ ছাড়ত না।
17. করূবেরা থামলে সেগুলোও থামত আর করূবেরা উঠলে তাঁদের সংগে চাকাগুলোও উঠত, কারণ সেই জীবন্ত প্রাণীদের আত্মা সেগুলোর মধ্যেই ছিল।
18. তারপর সদাপ্রভুর মহিমা সদাপ্রভুর ঘরের চৌকাঠের উপর থেকে চলে গিয়ে করূবদের উপরে থামল।