7. “এক মুহূর্তের জন্য আমি তোমাকে ত্যাগ করেছিলাম, কিন্তু গভীর মমতায় আমি তোমাকে ফিরিয়ে আনব।
8. ক্রোধে মুহূর্তের জন্য তোমার কাছ থেকে আমি মুখ ফিরিয়েছিলাম, কিন্তু চিরকালের অটল ভালবাসা দিয়ে আমি তোমার উপর মমতা করব। আমি তোমার মুক্তিদাতা সদাপ্রভু এই কথা বলছি।
9. “আমার কাছে এটা নোহের দিনের মত লাগছে। আমি যেমন শপথ করেছিলাম যে, নোহের সময়কার জলের মত জল আর কখনও পৃথিবী ঢেকে ফেলবে না, তেমনি এই শপথও করেছি যে, তোমার উপর রাগ করব না, তোমাকে আর কখনও বকুনি দেব না।
10. যদিও বা পর্বত সরে যায় আর পাহাড় টলতে থাকে, তবুও তোমার জন্য আমার অটল ভালবাসা সরে যাবে না কিম্বা আমার শান্তির ব্যবস্থা টলবে না।” তোমার উপর যাঁর মমতা রয়েছে সেই সদাপ্রভু এই কথা বলছেন।
11. সদাপ্রভু বলছেন, “হে ঝড়ে আঘাত পাওয়া, সান্ত্বনা না পাওয়া অত্যাচারিত শহর, আমি তোমাকে চক্চকে পাথর দিয়ে তৈরী করতে যাচ্ছি আর তোমার ভিত্তি নীলকান্তমণি দিয়ে গাঁথব।
12. পদ্মরাগমণি দিয়ে তোমার দেয়াল গাঁথব, ঝক্মকে মণি দিয়ে তোমার ফটক তৈরী করব আর তোমার সব দেয়াল দামী দামী পাথর দিয়ে গাঁথব।
13. তোমার সব ছেলেরা সদাপ্রভুর শিষ্য হবে আর তোমার সন্তানদের প্রচুর মংগল হবে।
14. তুমি ন্যায্যতায় স্থাপিত হবে। তোমার কাছ থেকে অত্যাচার দূরে থাকবে; তোমার ভয়ের কিছু থাকবে না। ভীষণ ভয় দূরে সরে যাবে, তা তোমার কাছে আসবে না।
15. যদি কেউ তোমাকে আক্রমণ করে তবে বুঝতে হবে আমি তাকে পাঠাই নি। যে তোমাকে আক্রমণ করবে তোমার দরুন তার পতন হবে।
16. “দেখ, যে কামার কয়লার আগুনে বাতাস দেয় আর কাজের উপযুক্ত অস্ত্র তৈরী করে সেই কামারকে আমিই সৃষ্টি করেছি। ধ্বংস করে দেবার জন্য আমিই ধ্বংসকারীকে সৃষ্টি করেছি।
17. তোমার বিরুদ্ধে তৈরী করা কোন অস্ত্রই টিকবে না; তোমাকে দোষী করা প্রত্যেকটি লোকের যুক্তি খণ্ডন করে তুমি তাদেরই দোষী করবে। এ-ই হল সদাপ্রভুর দাসদের অধিকার আর তাদের উপযুক্ত পাওনা।”