24. তুমি প্রভুকে টিট্কারি দিয়ে ও গর্ব করে তোমার দাসদের দিয়ে বলে পাঠিয়েছ যে, তোমার সব রথ দিয়ে তুমি পাহাড়গুলোর চূড়ায়, লেবাননের সবচেয়ে উঁচু উঁচু চূড়ায় উঠেছ, তার সবচেয়ে লম্বা লম্বা এরস গাছ আর ভাল ভাল বেরস গাছ কেটে ফেলেছ, তার গভীর বনের সুন্দর জায়গায় ঢুকেছ,
25. বিদেশের মাটিতে মাটিতে কূয়া খুঁড়েছ এবং সেখানকার জল খেয়েছ, আর তোমার পা দিয়ে মিসরের সব নদীগুলো শুকিয়ে ফেলেছ।
26. “ ॥ঃযং ‘তুমি কি শোন নি যে, অনেক আগেই আমি তা ঠিক করে রেখেছিলাম, অনেক কাল আগেই আমি তার পরিকল্পনা করেছিলাম? আর এখন আমি তা ঘটালাম। সেইজন্যই তো তুমি দেয়াল-ঘেরা শহরগুলো পাথরের ঢিবি করতে পেরেছ।
27. সেখানকার লোকেরা শক্তিহীন হয়েছে এবং ভীষণ ভয় ও লজ্জা পেয়েছে। তারা ক্ষেতের ঘাসের মত, গজিয়ে ওঠা সবুজ চারার মত, ছাদের উপরে গজানো ঘাসের মত যা বেড়ে উঠবার আগেই শুকিয়ে যায়।
28. কিন্তু তুমি কোথায় থাক আর কখন আস বা যাও আর কেমন করে আমার বিরুদ্ধে রেগে ওঠ তা সবই আমি জানি।
29. তুমি আমার বিরুদ্ধে রেগে উঠেছ বলে এবং তোমার দেমাকের কথা আমার কানে এসেছে বলে আমি তোমার নাকে আমার কড়া লাগাব আর তোমার মুখে আমার বল্গা লাগাব, আর যে পথ দিয়ে তুমি এসেছ সেই পথেই ফিরে যেতে আমি তোমাকে বাধ্য করব।’
30. “হে হিষ্কিয়, তোমার জন্য চিহ্ন হবে এই: এই বছর নিজে নিজে যা জন্মাবে তোমরা তা-ই খাবে, আর দ্বিতীয় বছরে তা থেকে যা জন্মাবে তা খাবে। কিন্তু তৃতীয় বছরে তোমরা বীজ বুনবে ও ফসল কাটবে আর আংগুর ক্ষেত করে তার ফল খাবে।
31. যিহূদা-গোষ্ঠীর যে লোকেরা তখনও বেঁচে থাকবে তারা আর একবার সফল হবে। তারা গাছের মত নীচে শিকড় বসাবে আর উপরে ফল ফলাবে।
32. বেঁচে থাকা লোকেরা যিরূশালেম থেকে আসবে আর সিয়োন পাহাড় থেকে আসবে রক্ষা পাওয়া একদল লোক। সর্বক্ষমতার অধিকারী সদাপ্রভুর আগ্রহই এই সমস্ত করবে।
33. “সেইজন্য আসিরিয়ার রাজার বিষয়ে সদাপ্রভু এই কথা বলছেন, ‘সে এই শহরে ঢুকবে না কিম্বা এখানে একটা তীরও মারবে না। সে ঢাল নিয়ে এর সামনে আসবে না কিম্বা ঘেরাও করে ওঠা-নামা করবার জন্য কিছু তৈরী করবে না।
34. সে যে পথ দিয়ে এসেছে সেই পথেই ফিরে যাবে; এই শহরে সে ঢুকবে না। আমি সদাপ্রভু এই কথা বলছি।
35. আমি আমার ও আমার দাস দায়ূদের জন্য এই শহরটা ঘিরে রেখে তা রক্ষা করব।’ ”
36. তারপর সদাপ্রভুর দূত বের হয়ে আসিরিয়দের ছাউনির এক লক্ষ পঁচাশি হাজার লোককে মেরে ফেললেন। পরদিন সকালবেলা লোকেরা যখন উঠল তখন দেখা গেল সব জায়গায় কেবল মৃতদেহ।
37. কাজেই আসিরিয়ার রাজা সন্হেরীব তাঁর সৈন্যদল নিয়ে চলে গেলেন এবং নীনবী শহরে ফিরে গিয়ে সেখানে থাকতে লাগলেন।
38. একদিন সন্হেরীব যখন তাঁর দেবতা নিষ্রোকের মন্দিরে পূজা করছিলেন তখন অদ্রম্মেলক ও শরেৎসর নামে তাঁর দুই ছেলে তাঁকে তলোয়ারের ঘায়ে মেরে ফেলে অরারট দেশে পালিয়ে গেল। সন্হেরীবের জায়গায় তাঁর ছেলে এসর-হদ্দোন রাজা হলেন।