20. যদিও প্রভু তোমাদের অল্প রুটি আর অল্প জল দিয়েছেন, তবুও তোমাদের শিক্ষক প্রভু আর লুকিয়ে থাকবেন না; তোমরা নিজেদের চোখেই তাঁকে দেখতে পাবে।
21. ডানে বা বাঁয়ে কোথাও যাবার সময় তোমরা পিছন থেকে তাঁর এই কথা শুনতে পাবে, “এটাই পথ; তোমরা এই পথেই চল।”
22. তখন তোমরা তোমাদের রূপা ও সোনা দিয়ে মুড়ানো মূর্তিগুলো অশুচি করবে; তোমরা সেগুলো নোংরা কাপড়ের মত ফেলে দিয়ে বলবে, “দূর হ, দূর হ!”
23. তিনি তোমাদের বৃষ্টি দেবেন যাতে তোমরা মাটিতে বীজ বুনতে পার এবং জমি থেকে যে ফসল আসবে তা ভাল ও পুষ্ট হয়। সেই দিন তোমাদের পশুপালগুলো অনেক বড় মাঠে চরবে।
24. তোমাদের চাষের গরু ও গাধা জাব্নার সংগে কুলা ও চালুনিতে ঝাড়া কলাই খাবে।
25. সেই ভীষণ দিনে যখন অনেককে মেরে ফেলা হবে ও দুর্গগুলো পড়ে যাবে তখন সমস্ত পাহাড়-পর্বতের গা বেয়ে জলের স্রোত বয়ে যাবে।
26. যেদিন সদাপ্রভু তাঁর লোকদের আঘাত-পাওয়া জায়গা বেঁধে দেবেন ও তাঁর করা ক্ষত ভাল করবেন সেই দিন চাঁদ আলো দেবে সূর্যের মত, আর সূর্যের আলো হবে পুরো সাত দিনের আলোর মত সাতগুণ বেশী।
27. দেখ, সদাপ্রভু জ্বলন্ত ক্রোধ ও গাঢ় ধূমার মেঘের সংগে দূর থেকে আসছেন; তাঁর মুখ ভীষণ ক্রোধে পূর্ণ আর তাঁর জিভ্ পুড়িয়ে ফেলা আগুনের মত।
28. তাঁর নিঃশ্বাস যেন বেগে আসা ভীষণ জলের স্রোত যা মানুষের গলা পর্যন্ত ওঠে। তিনি সব জাতিকে ধ্বংসের চালুনিতে চালবেন এবং সব জাতির লোকদের মুখে এমন বল্গা দেবেন যা তাদের ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যাবে।
29. পবিত্র উৎসব পালনের রাতের মত তোমরা গান করবে। লোকে যখন বাঁশী নিয়ে সদাপ্রভুর পাহাড়ের উপরে উঠে ইস্রায়েলের আশ্রয়-পাহাড়ের কাছে আসে তখন যেমন আনন্দ হয় তেমনি তোমাদের অন্তর আনন্দিত হবে।