11. এই গোটা দর্শনটাই তোমাদের কাছে কেবল সীলমোহর করা জড়ানো বইয়ের মত হয়েছে। যে পড়তে জানে তাকে যদি সেই বইটা দিয়ে বলা হয়, “দয়া করে এটা পড়ুন,” তবে উত্তরে সে বলবে, “আমি পারব না, কারণ এটা সীলমোহর করা হয়েছে।”
12. কিম্বা যে পড়তে জানে না তাকে বইটা দিয়ে যদি বলা হয়, “দয়া করে এটা পড়ুন,” তবে উত্তরে সে বলবে, “আমি পড়তে জানি না।”
13. প্রভু বলছেন, “এই লোকেরা মুখেই আমার উপাসনা করে আর মুখেই আমাকে সম্মান করে, কিন্তু তাদের অন্তর আমার কাছ থেকে দূরে থাকে। তারা কেবল মানুষের শিখানো নিয়ম দিয়ে আমার উপাসনা করে।
14. কাজেই আমি আবার চমৎকার আশ্চর্য কাজ দিয়ে এই লোকদের হতভম্ব করে দেব; তাতে জ্ঞানীদের জ্ঞান নষ্ট হয়ে যাবে আর বুদ্ধিমানদের বুদ্ধি অদৃশ্য হবে।”
15. ধিক্ সেই লোকদের, যারা সদাপ্রভুর কাছ থেকে তাদের পরিকল্পনা লুকাবার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে। তারা অন্ধকারে তাদের কাজ করে আর ভাবে, “কে আমাদের দেখছে? কে জানতে পারবে?”
16. তোমাদের কেমন উল্টা বুদ্ধি! তোমরা তো কুমার আর মাটিকে একই সমান ধরছ! যে তৈরী করছে তার তৈরী জিনিস কি তার বিষয় বলতে পারে, “সে আমাকে তৈরী করে নি”? পাত্র কি কুমারের বিষয়ে বলবে, “সে কিছুই জানে না”?
17. অল্পকালের মধ্যে তো লেবাননের বন একটা উর্বর জমি হয়ে উঠবে আর উর্বর জমি বনের মত মনে হবে।
18. সেই দিন বয়রারা সেই জড়ানো বইয়ের কথা শুনতে পাবে, আর গভীর অন্ধকারে থাকা অন্ধেরা দেখতে পাবে।
19. নম্র লোকেরা আবার সদাপ্রভুকে নিয়ে আনন্দিত হবে, আর যারা খুব গরীব তারা ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজনকে নিয়ে আনন্দ করবে।
20. নিষ্ঠুরেরা আর থাকবে না; ঠাট্টা-বিদ্রূপ কারীরাও শেষ হয়ে যাবে, আর যারা মন্দ কাজ করতে চায় তাদের ধ্বংস করে ফেলা হবে।
21. তারা মিথ্যা কথা দিয়ে মানুষকে দোষী করে, শহর-ফটকে নির্দোষীর পক্ষে থাকা লোককে ফাঁদে ফেলে এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে নির্দোষীকে ন্যায়বিচার পেতে দেয় না।