17. বাবিলীয়েরা সদাপ্রভুর ঘরের ব্রোঞ্জের দু’টা থাম, গামলা বসাবার ব্রোঞ্জের আসনগুলো এবং ব্রোঞ্জের বিরাট পাত্রটি ভেংগে টুকরা টুকরা করে বাবিলে নিয়ে গেল।
18. এছাড়া তারা সব পাত্র, বেল্চা, শল্তে পরিষ্কার করবার চিম্টা, বাটি, হাতা এবং উপাসনা-ঘরের সেবা-কাজের জন্য অন্যান্য সমস্ত ব্রোঞ্জের জিনিস নিয়ে গেল।
19. রাজার রক্ষীদলের সেনাপতি সোনা বা রূপার তৈরী যে সব পেয়ালা, আগুন রাখবার পাত্র, বাটি, বাতিদান, বেল্চা, ঢালন-উৎসর্গ অনুষ্ঠানের পাত্র ও অন্যান্য যে সব পাত্র ছিল তা নিয়ে গেলেন।
20. রাজা শলোমন সদাপ্রভুর ঘরের জন্য যে দু’টা থাম, বিরাট পাত্র ও তার নীচেকার বারোটা ব্রোঞ্জের গরু ও যে সব আসন তৈরী করিয়েছিলেন তার সব ব্রোঞ্জ ওজন করা সম্ভব ছিল না।
21. প্রত্যেকটা থাম ছিল আঠারো হাত উঁচু ও তার বেড় ছিল বারো হাত; প্রত্যেকটা থামের ব্রোঞ্জ চার আংগুল পুরু ছিল এবং ভিতরটা ছিল ফাঁপা।
22. একটা থামের মাথা ছিল পাঁচ হাত উঁচু এবং সেই মাথার চারপাশ ব্রোঞ্জের শিকল ও ব্রোঞ্জের ডালিম দিয়ে সাজানো ছিল। অন্য থামটিও একই রকম ছিল।
23. ব্রোঞ্জের শিকলের চারপাশের ডালিমের সংখ্যা ছিল একশো, কিন্তু সামনে থেকে মাত্র ছিয়ানব্বইটা ডালিম দেখা যেত।
24. যিহূদীদের প্রধান পুরোহিত সরায়, দ্বিতীয় পুরোহিত সফনিয় ও তিনজন দারোয়ানকে রক্ষীদলের সেনাপতি বন্দী করে নিয়ে গেলেন।
25. যারা তখনও শহরে ছিল তাদের মধ্য থেকে তিনি যোদ্ধাদের উপরে নিযুক্ত একজন কর্মচারী ও রাজার সাতজন পরামর্শদাতাকে ধরলেন। এছাড়া সেনাপতির লেখক, যিনি সৈন্যদলে লোক ভর্তি করতেন তাঁকে এবং শহরের মধ্যে পাওয়া আরও ষাটজন লোককেও ধরলেন।
26. সেনাপতি নবূষরদন তাদের সবাইকে বন্দী করে রিব্লাতে বাবিলের রাজার কাছে নিয়ে গেলেন।
27. রাজা হমাৎ দেশের রিব্লাতে এই সব লোকদের মেরে ফেললেন।এইভাবে যিহূদার লোকদের বন্দী করে নিজের দেশ থেকে দূরে নিয়ে যাওয়া হল।
28. নবূখদ্নিৎসর যে লোকদের বন্দী করে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের সংখ্যা হল এই: সপ্তম বছরে তিন হাজার তেইশজন যিহূদী,