4. হে যিহূদা ও যিরূশালেমের লোকেরা, সদাপ্রভুর বাধ্য হবার জন্য তোমাদের নিজেদের সুন্নত কর, অর্থাৎ তোমাদের অন্তরের ময়লা দূর কর; তা না হলে তোমাদের মন্দ কাজের জন্য আমার ক্রোধ বের হয়ে আগুনের মত জ্বলে উঠবে, কেউ তা নিভাতে পারবে না।
5. “তোমরা যিহূদা দেশে ও যিরূশালেমে ঘোষণা করে বল, ‘সারা দেশে তূরী বাজাও।’ জোরে চিৎকার করে বল, ‘তোমরা একসংগে জড়ো হও। চল, আমরা দেয়াল-ঘেরা শহরগুলোতে যাই।’
6. সিয়োনে যাবার পথ দেখাবার জন্য চিহ্ন স্থাপন কর। দেরি না করে নিরাপদ হবার জন্য পালাও, কারণ আমি উত্তর দিক থেকে বিপদ এবং ভয়ংকর ধ্বংস আনতে যাচ্ছি।
7. একটা সিংহ তার ঝোপ ছেড়ে উঠে এসেছে; জাতিদের ধ্বংসকারী একজন রওনা হয়েছে। তোমার দেশ ধ্বংস করবার জন্য সে তার জায়গা ছেড়ে আসছে। তোমার শহরগুলো জনশূন্য ও ধ্বংস হয়ে পড়ে থাকবে।
8. কাজেই চট পরে বিলাপ ও হাহাকার কর, কারণ সদাপ্রভুর জ্বলন্ত ক্রোধ আমাদের দিক থেকে ফিরে যায় নি।”
9. সদাপ্রভু বলছেন, “সেই দিন রাজা ও উঁচু পদের কর্মচারীরা সাহস হারাবে, আর পুরোহিতেরা ও নবীরা হতভম্ব হবে।”
10. তখন আমি বললাম, “হায়, হায়! হে প্রভু সদাপ্রভু, তুমি এই লোকদের ও যিরূশালেমকে পুরোপুরি ছলনা করে বলেছ, ‘তোমাদের শান্তি হবে,’ অথচ আমাদের গলার কাছে তলোয়ার ধরা রয়েছে।”
11. সেই সময় সদাপ্রভু এই লোকদের ও যিরূশালেমকে বলবেন, “মরু-এলাকার গাছপালাহীন পাহাড়গুলো থেকে গরম বাতাস আমার লোকদের দিকে আসছে, কিন্তু তা শস্য ঝাড়বার বা পরিষ্কার করবার বাতাস নয়;
12. আমার আদেশে আসা সেই বাতাসের জোর খুব বেশী। এইভাবে আমি এখন তাদের বিরুদ্ধে আমার বিচারের রায় দেব।”
13. দেখ, তিনি মেঘের মত করে এগিয়ে আসছেন। তাঁর রথগুলো ঘূর্ণিবাতাসের মত আসছে আর তাঁর ঘোড়াগুলো ঈগল পাখীর চেয়েও জোরে দৌড়ায়। হায়, হায়, আমরা ধ্বংস হয়ে গেলাম!
14. হে যিরূশালেম, তোমার অন্তর থেকে মন্দতা ধুয়ে ফেল যাতে তুমি উদ্ধার পাও। আর কত দিন তুমি মন্দ চিন্তা মনে পুষে রাখবে?
15. দান শহর থেকে ও ইফ্রয়িমের পাহাড়গুলো থেকে বিপদের কথা ঘোষণা করা হচ্ছে।
16. জাতিগুলোর কাছে এবং যিরূশালেমের কাছে এই কথা ঘোষণা কর, “ঘেরাও করবার জন্য সৈন্যেরা দূর দেশ থেকে আসছে; তারা যিহূদার শহরগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধের হাঁক দিচ্ছে।
17. ক্ষেতের পাহারাদারদের মত তারা যিরূশালেমকে ঘেরাও করবে, কারণ সে আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। আমি সদাপ্রভু এই কথা বলছি।