2. সদাপ্রভু নবী যিরমিয়ের মধ্য দিয়ে যে সব কথা বলেছিলেন তাতে সিদিকিয় কিম্বা তাঁর কর্মচারীরা কিম্বা দেশের লোকেরা কেউই কান দিত না।
3. তবুও একদিন রাজা সিদিকিয় শেলিমিয়ের ছেলে যিহূখল ও মাসেয়ের ছেলে পুরোহিত সফনিয়কে এই সংবাদ দিয়ে যিরমিয়ের কাছে পাঠিয়ে দিলেন, “আপনি দয়া করে আমাদের জন্য আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন।”
4. যিরমিয় সেই সময় লোকদের মধ্যে স্বাধীনভাবে যাওয়া-আসা করছিলেন, কারণ তখনও তাঁকে জেলখানায় দেওয়া হয় নি।
5. তখন বাবিলীয়েরা যিরূশালেম ঘেরাও করে রেখেছিল, কিন্তু তারা যখন শুনল ফরৌণের সৈন্যদল মিসর থেকে বের হয়েছে তখন তারা যিরূশালেম ছেড়ে চলে গেল।
8. তারপর বাবিলীয়েরা ফিরে এসে এই শহর আক্রমণ করবে; তারা এটা দখল করে পুড়িয়ে দেবে।
9. “ ‘তোমরা এই কথা ভেবে নিজেদের ঠকিয়ো না যে, বাবিলীয়েরা অবশ্যই তোমাদের ছেড়ে চলে যাবে। না, তারা যাবে না।
10. যে বাবিলীয় সৈন্যেরা তোমাদের আক্রমণ করছে তোমরা যদি তাদের সবাইকে হারিয়ে দাও আর কেবল তাদের আহত লোকেরা তাম্বুতে পড়ে থাকে, তবে তারাই বের হয়ে এসে এই শহর পুড়িয়ে দেবে।’ ”
13. কিন্তু যখন তিনি বিন্যামীন-ফটকে পৌঁছালেন তখন যিরিয় নামে পাহারাদারদের সেনাপতি তাঁকে ধরে বলল, “তুমি বাবিলীয়দের পক্ষে যাচ্ছ।” এই যিরিয় ছিল শেলিমিয়ের ছেলে, শেলিমিয় হনানিয়ের ছেলে।
14. যিরমিয় বললেন, “এটা মিথ্যা কথা, আমি বাবিলীয়দের পক্ষে যাচ্ছি না।” কিন্তু যিরিয় তাঁর কথা না শুনে তাঁকে ধরে রাজকর্মচারীদের সামনে নিয়ে গেল।
15. সেই রাজকর্মচারীরা যিরমিয়ের উপর রাগ করে তাঁকে মারধর করলেন এবং লেখক যোনাথনের বাড়ীতে তাঁকে বন্দী করে রাখলেন; সেটাকেই তাঁরা জেলখানা বানিয়েছিলেন।
16. সেই জেলখানার মাটির নীচের একটা কামরায় যিরমিয়কে রাখা হল। সেখানে তিনি অনেক দিন রইলেন।
17. তারপর রাজা সিদিকিয় লোক পাঠিয়ে তাঁকে রাজবাড়ীতে ডেকে আনিয়ে গোপনে জিজ্ঞাসা করলেন, “সদাপ্রভুর কোন বাক্য আছে কি?”উত্তরে যিরমিয় বললেন, “হ্যাঁ, আছে। আপনাকে বাবিলের রাজার হাতে তুলে দেওয়া হবে।”
18. তারপর যিরমিয় রাজা সিদিকিয়কে বললেন, “আমি আপনার কিম্বা আপনার কর্মচারীদের কিম্বা এই লোকদের বিরুদ্ধে কি দোষ করেছি যে, আপনারা আমাকে জেলখানায় রেখেছেন?
19. যারা আপনাদের কাছে এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যে, বাবিলের রাজা আপনাকে বা এই দেশকে আক্রমণ করবে না, আপনাদের সেই নবীরা কোথায়?