27. ফরৌণ তখন মোশি ও হারোণকে ডাকিয়ে এনে বললেন, “এবার আমি পাপ করেছি। সদাপ্রভু ঠিক কাজ করেছেন। আমি আর আমার লোকেরাই দোষী।
28. তুমি সদাপ্রভুর কাছে মিনতি কর। মেঘের গর্জন ও শিল পড়া যথেষ্ট হয়েছে। এবার আমি তোমাদের যেতে দেব। এখানে আর তোমাদের থাকতে হবে না।”
29. মোশি তাঁকে বললেন, “শহর থেকে বের হয়ে গিয়েই আমি সদাপ্রভুর কাছে হাত মেলে প্রার্থনা করব। তাতে মেঘের গর্জনও থেমে যাবে, শিলও আর পড়বে না। এতে আপনি বুঝতে পারবেন যে, পৃথিবীটা সদাপ্রভুরই।
30. কিন্তু আমি জানি যে, আপনি এবং আপনার কর্মচারীরা সদাপ্রভু ঈশ্বরকে এখনও ভয় করেন না।”
31. শিলাবৃষ্টির দরুন মিসরের সব মসীনা আর যব একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় যবের শীষ বের হয়েছিল আর মসীনা গাছে ফুল এসেছিল,
32. কিন্তু সরস এবং নীরস গমের কোনটাই নষ্ট হয় নি কারণ তখনও সেগুলো পাকবার সময় হয় নি।
33. এর পর মোশি ফরৌণের কাছ থেকে চলে গেলেন। শহর থেকে বের হয়ে তিনি সদাপ্রভুর কাছে হাত মেলে প্রার্থনা করলেন। তখন মেঘের গর্জন ও শিল পড়া বন্ধ হল। মাটির উপর মুষলধারে বৃষ্টি পড়াও থেমে গেল।
34. কিন্তু ফরৌণ ও তাঁর কর্মচারীরা যখন দেখলেন যে, বৃষ্টি, শিল ও মেঘের গর্জন বন্ধ হয়ে গেছে তখন তাঁরা আবার পাপ করতে লাগলেন। তাঁরা আবার তাদের মন শক্ত করলেন।
35. সদাপ্রভু মোশির মধ্য দিয়ে যেমন বলেছিলেন তেমনি ফরৌণের মন কঠিন হয়ে রইল; তিনি ইস্রায়েলীয়দের যেতে দিলেন না।