4. উত্তরে মিসরের রাজা তাঁদের বললেন, “মোশি ও হারোণ, তোমরা কাজ থেকে লোকদের মন সরিয়ে দিচ্ছ কেন? যাও, তোমরা কাজে ফিরে যাও।
5. দেখ, দেশে তোমাদের লোকসংখ্যা এখন বেড়ে গেছে, আর তোমাদের দরুন তারা কাজ বন্ধ করে দিচ্ছে।”
6. ফরৌণ সেই দিনই দাসদের উপর নিযুক্ত-করা অত্যাচারী সর্দারদের ও ইস্রায়েলীয় পরিচালকদের এই হুকুম দিলেন,
7. “ইট তৈরীর জন্য লোকদের তোমরা আর খড়কুটা দেবে না। তারা নিজেরাই নিজেদের খড় যোগাড় করে নেবে।
8. কিন্তু তবুও তারা আগে যতগুলো ইট তৈরী করত ঠিক ততগুলোই তোমরা তাদের কাছ থেকে বুঝে নেবে, একটাও কমাবে না। লোকগুলো অলস বলেই তারা গিয়ে তাদের ঈশ্বরের উদ্দেশে পশু উৎসর্গ করবার কথা নিয়ে হৈ-চৈ করছে।
9. তোমরা তাদের উপর আরও ভারী কাজ চাপিয়ে দাও, যাতে মিথ্যা কথায় কান না দিয়ে তারা কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে।”
10. তখন দাসদের উপর নিযুক্ত-করা অত্যাচারী সর্দারেরা ও ইস্রায়েলীয় পরিচালকেরা বাইরে গিয়ে লোকদের বলল, “ফরৌণ বলছেন যে, তিনি আর তোমাদের খড়ের যোগান দেবেন না।
11. তোমরা যেখানে পাও সেখান থেকে খড়কুটা যোগাড় করে নেবে। কিন্তু তাতে তোমাদের কাজ একটুও কমিয়ে দেওয়া হবে না।”
12. কাজেই লোকেরা খড়ের বদলে নাড়া যোগাড় করবার জন্য মিসর দেশের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল।
13. সেই সর্দারেরা তাদের তাড়া দিয়ে বলতে লাগল, “আগে খড় যোগান দেবার সময় তোমরা রোজ যতগুলো ইট তৈরী করতে এখনও তোমাদের ঠিক ততগুলোই তৈরী করে দিতে হবে।”