13. পরে হারোণকে পবিত্র পোশাকগুলো পরিয়ে অভিষেক করে আমার উদ্দেশ্যে আলাদা করবে যাতে সে পুরোহিত হয়ে আমার সেবা করতে পারে।
14. হারোণের ছেলেদের কাছে এনে তাদের পুরোহিতের জামা পরিয়ে দেবে।
15. তারপর তাদের বাবার মত করে তাদেরও অভিষেক করবে যাতে তারা পুরোহিত হয়ে আমার সেবা করতে পারে। এই অভিষেক দ্বারা যে পুরোহিত-পদের সৃষ্টি হবে তা বংশের পর বংশ ধরে চলতে থাকবে।”
16. সদাপ্রভু মোশিকে যেমন আদেশ দিয়েছিলেন মোশি সেইমতই সব কিছু করলেন।
17. দ্বিতীয় বছরের প্রথম মাসের প্রথম দিনে আবাস-তাম্বুটা দাঁড় করানো হল।
18. সেটা দাঁড় করাতে গিয়ে মোশি পা-দানিগুলো বসিয়ে ফ্রেমগুলো খাড়া করলেন। তিনি হুড়কাগুলো লাগালেন এবং খুঁটিগুলো বসালেন।
19. তারপর সদাপ্রভুর আদেশ মত তিনি আবাস-তাম্বুর উপরে ছাগলের লোম দিয়ে বুনানো টুকরাটি বিছিয়ে দিলেন এবং তার উপর দিলেন ছাউনি দু’টা।
20. তারপর মোশি সাক্ষ্য-ফলক দু’টা নিয়ে সিন্দুকের ভিতরে রাখলেন এবং সিন্দুকটার গায়ে ডাণ্ডা লাগালেন আর তার উপরে রাখলেন তার ঢাকনাখানা।
21. তারপর সদাপ্রভুর আদেশ মত তিনি সিন্দুকটা আবাস-তাম্বুর ভিতরে নিয়ে গেলেন এবং তার পর্দাটা ঝুলিয়ে সেটা আড়াল করে রাখলেন।
22-23. সেই পর্দার বাইরে উত্তর দিকে আবাস-তাম্বুর মধ্যেই, অর্থাৎ মিলন-তাম্বুর মধ্যেই তিনি টেবিলটা রাখলেন এবং সদাপ্রভুর আদেশ মত তাঁর সামনে টেবিলের উপর সম্মুখ-রুটি সাজিয়ে রাখলেন।
24-25. দক্ষিণে, টেবিলটার উল্টাদিকে সদাপ্রভুর আদেশ মত বাতিদানটা রাখলেন এবং তার উপর সদাপ্রভুর সামনে প্রদীপগুলো জ্বালিয়ে দিলেন।
26-27. পর্দার সামনে ঐ মিলন-তাম্বুর মধ্যেই তিনি সোনার বেদীটা রাখলেন এবং সদাপ্রভুর আদেশ মত তার উপর সুগন্ধি ধূপ জ্বালালেন।
28. তারপর তিনি আবাস-তাম্বুর দরজায় পর্দা টাংগালেন।
29. আবাস-তাম্বুর, অর্থাৎ মিলন-তাম্বুর দরজার কাছে তিনি পোড়ানো-উৎসর্গের বেদীটা রাখলেন এবং সদাপ্রভুর আদেশ মত তিনি তার উপর পোড়ানো-উৎসর্গের এবং শস্য-উৎসর্গের অনুষ্ঠান করলেন।
30. সেই বেদী এবং মিলন-তাম্বুর মাঝামাঝি জায়গায় তিনি গামলাটা বসালেন এবং হাত-পা ধোওয়ার জন্য তাতে জল রাখলেন।