3. তারপর ব্রোঞ্জ দিয়ে গোটা বেদীটা মুড়ে দেওয়া হল। বেদীর ছাই ফেলবার পাত্র, হাতা, উৎসর্গের রক্ত রাখবার বাটি, মাংস তুলবার কাঁটা এবং আগুন রাখবার পাত্র- সবই ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরী করা হল।
4. বেদীর জন্য ব্রোঞ্জ দিয়ে একটা ঝাঁঝরি, অর্থাৎ একটা জালতি তৈরী করা হল। বেদীর চারপাশ থেকে বের হয়ে আসা তাকের নীচে এই ঝাঁঝরিটা রাখা হল। তাতে সেটা বেদীর নীচ থেকে উপরের দিকে মাঝামাঝি জায়গায় রইল।
5. ডাণ্ডা ঢুকাবার জন্য ব্রোঞ্জের সেই ঝাঁঝরির চার কোণায় ব্রোঞ্জেরই চারটা কড়া তৈরী করা হল।
6. বাব্লা কাঠ দিয়ে দু’টা ডাণ্ডা তৈরী করা হল এবং সেই ডাণ্ডা দু’টা ব্রোঞ্জ দিয়ে মুড়ানো হল।
7. এই ডাণ্ডাগুলো কড়ার মধ্য দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হল যাতে বেদীটা বয়ে নেবার সময় ডাণ্ডাগুলো বেদীর দু’পাশে থাকে। বেদীটা তক্তা দিয়ে তৈরী করা হল এবং তার ভিতরটা ফাঁকা রইল।
8. ব্রোঞ্জ দিয়ে একটা গামলা তৈরী করা হল। যে সব মেয়েরা সেবা-কাজের জন্য মিলন-তাম্বুর দরজার কাছে আসত তাদের ব্রোঞ্জের আয়না দিয়ে সেই গামলাটা ও তার আসন তৈরী করা হল।
9. এর পরে বৎসলেল আবাস-তাম্বুর চারদিকের উঠানের ব্যবস্থা করলেন। উঠানের দক্ষিণ দিকের একশো হাত জায়গার জন্য পাকানো মসীনা সুতা দিয়ে কতগুলো পর্দা তৈরী করা হল।
10. সেই পর্দাগুলো খাটাবার জন্য বিশটা খুঁটি তৈরী করা হল। খুঁটি বসাবার জন্য ব্রোঞ্জের বিশটা পা-দানি আর খুঁটির সংগে লাগাবার জন্য রূপার হুক আর বাঁধন-পাত তৈরী করা হল।
11. উঠানের উত্তর দিকের একশো হাত জায়গার জন্যও বিশটা খুঁটি, খুঁটি বসাবার জন্য ব্রোঞ্জের বিশটা পা-দানি আর খুঁটির সংগে লাগাবার জন্য রূপার হুক আর বাঁধন-পাত তৈরী করা হল।
12. উঠানের পশ্চিম দিকের পঞ্চাশ হাত জায়গার জন্য কতগুলো পর্দা, দশটি খুঁটি, দশটা পা-দানি এবং খুঁটির সংগের রূপার হুক আর বাঁধন-পাত তৈরী করা হল।
13. উঠানের পূর্ব দিকটাও হল পঞ্চাশ হাত।