12. টেবিলটার চারপাশের কিনারায় চার আংগুল উঁচু করে একটা বেড় তৈরী করা হল। সেই বেড়ের উপর সোনা দিয়ে নক্শার কাজ করা হল।
13. ছাঁচে ফেলে চারটা সোনার কড়া তৈরী করে টেবিলের চার কোণায় চারটা পায়ার উপরে লাগিয়ে দেওয়া হল।
14. সেই কড়াগুলো টেবিলের কিনারায় ঐ উঁচু বেড়ের কাছাকাছি লাগানো হল যাতে টেবিলটা বয়ে নেবার জন্য কড়ার মধ্য দিয়ে ডাণ্ডা ঢুকানো যায়।
15. টেবিলটা বয়ে নেবার ডাণ্ডাগুলো বাব্লা কাঠ দিয়ে তৈরী করে সোনা দিয়ে মুড়ানো হল।
16. টেবিলের জিনিসপত্র খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরী করা হল। সেগুলো হল বড় ও ছোট থালাগুলো আর ঢালন-উৎসর্গের সব কলসী ও বাটি।
17. খাঁটি সোনা দিয়ে বৎসলেল একটা বাতিদান তৈরী করলেন। তার নীচের অংশ এবং তা থেকে উঠে যাওয়া ডাঁটিটা সোনা পিটিয়ে তৈরী করা হল। তার ফুলের মত বাটিগুলো, কুঁড়ি ও ফুল বাতিদান থেকে বের হয়ে আসল এবং সমস্তটা মিলে মাত্র একটা জিনিসই হল।
18. বাতিদানের দু’পাশ দিয়ে তিনটা তিনটা করে মোট ছয়টা ডাল তৈরী করা হল।
19. প্রথম ডালের মাঝে মাঝে ফুল ও কুঁড়ি সুদ্ধ বাদাম ফুলের মত দেখতে তিনটা বাটি তৈরী করা হল। তার পরের ডালেও তা-ই করা হল। বাতিদান থেকে বের হয়ে আসা ছয়টা ডাল একই রকম হল।
20. বাতিদানের ডাঁটিটার মাঝে মাঝেও ফুল ও কুঁড়ি সুদ্ধ বাদাম ফুলের মত দেখতে চারটা বাটি তৈরী করা হল।
21. বাতিদান থেকে বের হয়ে আসা মোট ছয়টা ডালের মধ্যে প্রথম দু’টি যেখানে মিশেছে তার নীচে রইল একটা কুঁড়ি, দ্বিতীয় দু’টির নীচে আর একটা কুঁড়ি এবং তৃতীয় দু’টির নীচে আর একটা কুঁড়ি।
22. কুঁড়ি এবং ডাল সবই বাতিদান থেকে বের হয়ে আসল এবং সমস্তটা মিলে একটা জিনিসই হল। সবটাই খাঁটি সোনা পিটিয়ে তৈরী করা হল।
23. খাঁটি সোনা দিয়ে সাতটা প্রদীপ, সল্তে পরিষ্কার করবার চিম্টা ও সল্তের পোড়া অংশ রাখবার জন্য কয়েকটা পাত্র তৈরী করা হল।
24. ত্রিশ কেজি খাঁটি সোনা দিয়ে এই বাতিদানটা ও তার সব জিনিসপত্র তৈরী করা হল।
25. বৎসলেল বাব্লা কাঠ দিয়ে চৌকো একটা ধূপ-বেদী তৈরী করলেন। এক হাত লম্বা, এক হাত চওড়া ও দুই হাত উঁচু করে বেদীটা তৈরী করা হল। শিং সুদ্ধ গোটা বেদীটা মাত্র একটা জিনিসই হল।