32. মিলন-তাম্বুর দরজার কাছে হারোণ ও তার ছেলেরা টুকরিতে রাখা রুটির সংগে এই মাংস খাবে।
33. তাদের পুরোহিতের কাজে বহাল করবার জন্য এবং আমার উদ্দেশ্যে তাদের আলাদা করে নেবার জন্য যে সব উৎসর্গ করা খাবার পাপ ঢাকবার কাজে ব্যবহার করা হবে তা হারোণ ও তার ছেলেদের খেতে হবে। অন্য কেউ তা খেতে পারবে না, কারণ তা পবিত্র খাবার।
34. এই বহাল-অনুষ্ঠানের ভেড়ার কোন মাংস বা রুটি যদি সকাল পর্যন্ত থেকে যায় তবে তা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তা যেন কেউ না খায়, কারণ সেটা পবিত্র খাবার।
35. “হারোণ ও তার ছেলেদের প্রতি আমি যা যা তোমাকে করতে বললাম তা সবই তুমি করবে। এই বহাল-অনুষ্ঠানটি তুমি সাত দিন ধরে করবে।
36. পাপ ঢাকা দেবার জন্য পাপ-উৎসর্গ হিসাবে তুমি সেই সাত দিনের প্রত্যেক দিন একটা করে ষাঁড় উৎসর্গ করবে। পাপ ঢাকা দেবার অনুষ্ঠান দ্বারা বেদীটা শুচি করে নেবে এবং তেল ঢেলে সেটা আমার উদ্দেশ্যে আলাদা করে নেবে।
37. বেদীটা শুচি করে নেবার জন্য সাত দিন পর্যন্ত প্রতিদিন পাপ ঢাকা দেবার অনুষ্ঠান দ্বারা সেটা আমার উদ্দেশ্যে আলাদা করে নিতে হবে। তাতে সেই বেদীটা একটা মহাপবিত্র জিনিস হবে। তার ছোঁয়ায় যা কিছু আসবে তা আমার উদ্দেশ্যে আলাদা হতে হবে।
38. “এর পর থেকে সেই বেদীর উপর প্রত্যেক দিন নিয়মিত ভাবে দু’টা করে ভেড়ার বাচ্চা উৎসর্গ করতে হবে; তার প্রত্যেকটার বয়স হবে এক বছর।
39. একটা উৎসর্গ করতে হবে সকালবেলায় আর অন্যটি সন্ধ্যাবেলায়।
40. প্রথম ভেড়াটার সংগে এক কেজি আটশো গ্রাম মিহি ময়দা প্রায় এক লিটার ছেঁচা জলপাইয়ের তেলের সংগে মিশিয়ে উৎসর্গ করতে হবে। এছাড়া ঢালন-উৎসর্গ হিসাবে প্রায় এক লিটার আংগুর-রসও উৎসর্গ করতে হবে।
41. সন্ধ্যাবেলায় যে ভেড়াটা উৎসর্গ করা হবে তার সংগে সকালবেলার মত সেই একই রকমের শস্য-উৎসর্গ এবং ঢালন-উৎসর্গের অনুষ্ঠান করতে হবে। এটা হবে সদাপ্রভুর উদ্দেশে আগুনে করা উৎসর্গ যার গন্ধে তিনি খুশী হন।
42. “বংশের পর বংশ ধরে মিলন-তাম্বুর দরজার কাছে সদাপ্রভুর, অর্থাৎ আমার সামনে নিয়মিত ভাবে এই পোড়ানো-উৎসর্গ করতে হবে। সেখানেই আমি তোমাদের সংগে দেখা করব এবং তোমার সংগে কথা বলব।