14. সিন্দুকটা বয়ে নেবার জন্য তার দুই পাশের কড়ার মধ্য দিয়ে সেই ডাণ্ডা দু’টা ঢুকিয়ে দেবে।
15. ডাণ্ডা দু’টা সেই সিন্দুকের কড়ার মধ্যে ঢুকানোই থাকবে; সেগুলো খুলে নেওয়া চলবে না।
16. যে সাক্ষ্য-ফলক আমি তোমাকে দেব তা তুমি এই সিন্দুকের মধ্যে রাখবে।
17. “খাঁটি সোনা দিয়ে সেই সিন্দুকের জন্য একটা ঢাকনা তৈরী করাবে, যার উপর পাপ ঢাকা দেওয়া হবে। এই ঢাকনাটা লম্বায় হবে আড়াই হাত এবং চওড়ায় দেড় হাত।
18. সেই ঢাকনার কিনারায় সোনা পিটিয়ে দু’টি করূবের মূর্তি তৈরী করাতে হবে।
19. করূব দু’টি সিন্দুকের দুই কিনারায় থাকবে। সেই করূব দু’টি এমনভাবে ঢাকনা থেকে তৈরী করাতে হবে যাতে সমস্তটা মিলে মাত্র একটা জিনিসই হয়।
20. তাদের ডানাগুলো উপর দিকে মেলে দেওয়া থাকবে এবং তার ছায়ার নীচে থাকবে সিন্দুকের ঢাকনাটা। করূবেরা সামনাসামনি দাঁড়িয়ে থাকবে এবং তাদের চোখ থাকবে ঢাকনাটার দিকে।
21. এই ঢাকনাটা সিন্দুকের উপর রাখতে হবে এবং যে সাক্ষ্য-ফলক আমি তোমাকে দেব সেটা তুমি সেই সিন্দুকের মধ্যে রাখবে।
22. এই সাক্ষ্য-সিন্দুকের ঢাকনার উপরে করূব দু’টির মাঝখানে আমি তোমার সংগে দেখা করে ইস্রায়েলীয়দের জন্য আমার সমস্ত আদেশ তোমাকে দেব।
23. “বাব্লা কাঠ দিয়ে দুই হাত লম্বা, এক হাত চওড়া ও দেড় হাত উঁচু করে একটা টেবিল তৈরী করাতে হবে।
24. খাঁটি সোনা দিয়ে সেটা মুড়িয়ে দেবে এবং তার চার কিনারা ধরে থাকবে সোনার নক্শা।
25. টেবিলটার চারপাশের কিনারায় চার আংগুল উঁচু করে একটা বেড় তৈরী করাতে হবে, আর তার উপরেও সোনা দিয়ে নক্শার কাজ করাতে হবে।
26. টেবিলের চার কোণাতে চার পায়ার উপরে চারটা সোনার কড়া তৈরী করিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে।
27. সেই কড়াগুলো টেবিলের কিনারায় ঐ উঁচু বেড়ের কাছাকাছি থাকবে যাতে টেবিলটা বয়ে নেবার জন্য সেগুলোর মধ্য দিয়ে ডাণ্ডা ঢুকানো যায়।
28. ডাণ্ডা দু’টা বাব্লা কাঠ দিয়ে তৈরী করে সোনা দিয়ে মুড়াতে হবে এবং তা দিয়ে টেবিলটা বয়ে নিতে হবে।
29. টেবিলের বড় এবং ছোট থালাগুলো আর যে সব কলসী ও বাটি থেকে ঢালন-উৎসর্গের জিনিস ঢালতে হবে তা সবই খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরী করাতে হবে।
30. সেই টেবিলের উপরে আমার সামনে সম্মুখ-রুটি রাখতে হবে, আর তা যেন সব সময় সেখানে থাকে।