13. তবে তার গায়ে হাত না দিয়ে তাকে পাথর মেরে কিম্বা তীর দিয়ে মেরে ফেলতে হবে। মানুষ হোক বা পশু হোক তাকে আর বেঁচে থাকতে দেওয়া হবে না। কেবলমাত্র একটানা কতক্ষণ শিঙা বাজাবার পরই তারা পাহাড়ের কাছে আসতে পারবে।”
14. এর পর মোশি পাহাড় থেকে নেমে এসে লোকদের শুচি করলেন আর লোকেরা তাদের কাপড়-চোপড় ধুয়ে নিল।
15. তারপর মোশি তাদের বললেন, “তৃতীয় দিনের জন্য তোমরা প্রস্তুত হও। এই সময়ের মধ্যে তোমরা কেউ স্ত্রীর সংগে মিলিত হবে না।”
16. তৃতীয় দিনের সকালবেলা মেঘের গর্জন হতে লাগল এবং বিদ্যুৎ চম্কাতে থাকল আর পাহাড়ের উপরে একখণ্ড ঘন মেঘ দেখা দিল। এছাড়া খুব জোরে জোরে শিঙার আওয়াজ হতে লাগল। এই সব দেখেশুনে ছাউনির মধ্যেকার সমস্ত লোক কেঁপে উঠল।
17. তখন ঈশ্বরের সামনে যাবার জন্য মোশি ছাউনি থেকে লোকদের বের করে নিয়ে গেলেন। লোকেরা পাহাড়ের নীচে গিয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
18. তারপর সিনাই পাহাড়টা ধূমায় ঢেকে গেল, কারণ সদাপ্রভু পাহাড়ের উপর আগুনের মধ্যে নেমে আসলেন। চুল্লী থেকে যেমন ধূমা ওঠে ঠিক সেইভাবে ধূমা উঠতে লাগল আর গোটা পাহাড়টা ভীষণভাবে কাঁপতে লাগল।
19. শিঙার আওয়াজ আরও জোরে জোরে হতে লাগল। তখন মোশি ঈশ্বরের সংগে কথা বললেন আর ঈশ্বরও জোরে কথা বলে তাঁর উত্তর দিলেন।
20. সদাপ্রভু সিনাই পাহাড়ের চূড়ায় নেমে এসে মোশিকে ডাকলেন আর মোশি পাহাড়ের উপর উঠে গেলেন।
21. সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি নীচে নেমে গিয়ে লোকদের সাবধান করে দাও যেন তারা সদাপ্রভুকে দেখবার জন্য সীমানা ডিংগিয়ে চলে না আসে। তা করলে অনেকেই মারা পড়বে।
22. এমন কি, সদাপ্রভুর কাছে যাওয়াই যাদের কাজ, সেই পুরোহিতদেরও নিজেদের শুচি করে নিতে হবে। তা না করলে সদাপ্রভু তাদের ভীষণ শাস্তি দেবেন।”
23. উত্তরে মোশি সদাপ্রভুকে বললেন, “কিন্তু লোকেরা তো সিনাই পাহাড়ের উপর আসতে পারবে না। তুমিই তো আমাদের সাবধান করে বলে দিয়েছ, যেন আমরা পাহাড়ের চারদিকে সীমানা-চিহ্ন দিয়ে তা তোমার জন্য আলাদা করে রাখি।”
24. তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি নীচে নেমে যাও। তারপর তুমি ও হারোণ আবার উপরে উঠে এসো। কিন্তু পুরোহিতেরা বা লোকেরা যেন সীমানা ডিংগিয়ে আমার কাছে উঠে না আসে। তা করলে আমি তাদের ভীষণ শাস্তি দেব।”
25. এই কথা শুনে মোশি নেমে গিয়ে সব কথা লোকদের জানালেন।