9. এইভাবে তোমরা সদাপ্রভুর দেওয়া এই নির্দেশের কথা শিক্ষা দেবে। এই নিয়ম পালন এমন একটা চিহ্ন হবে যা হাত ও কপালের স্মরণ-চিহ্নের মত তোমাদের মনে করিয়ে দেবে যে, সদাপ্রভু তাঁর শক্তি দেখিয়ে মিসর দেশ থেকে তোমাদের বের করে এনেছেন।
10. বছরের পর বছর ধরে নির্দিষ্ট সময়ে তোমরা এই নিয়ম পালন করবে।
11. সদাপ্রভু তোমাদের ও তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে শপথ করে যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন সেই প্রতিজ্ঞা অনুসারে তিনি যখন কনানীয়দের দেশে তোমাদের নিয়ে গিয়ে অধিকার হিসাবে তা তোমাদের দেবেন,
12. তখন তোমরাও তোমাদের প্রত্যেকটি প্রথম পুরুষ সন্তানকে সদাপ্রভুর উদ্দেশে দিয়ে দেবে। পশুর প্রত্যেকটা প্রথম পুরুষ বাচ্চা সদাপ্রভুর।
13. কিন্তু তোমরা গাধার প্রথম পুরুষ বাচ্চার বদলে একটা ভেড়ার বাচ্চা দিয়ে তা ছাড়িয়ে নেবে। যদি তা করা না যায় তবে তোমরা গাধার বাচ্চাটার ঘাড় ভেংগে দেবে। তোমরা তোমাদের প্রত্যেকটি প্রথম ছেলেকেও ছাড়িয়ে নেবে।
14. “ভবিষ্যতে যখন তোমাদের ছেলেরা এর মানে তোমাদের জিজ্ঞাসা করবে তখন তোমরা প্রত্যেকে বলবে, ‘সদাপ্রভু মিসরের গোলামীর হাত থেকে তাঁর শক্তি দেখিয়ে আমাদের বের করে এনেছিলেন।
15. ফরৌণ একগুঁয়েমি করে যখন আমাদের আসতে দিচ্ছিল না তখন সদাপ্রভু মিসর দেশের মানুষ ও পশুর প্রত্যেকটি প্রথম পুরুষ সন্তানকে মেরে ফেলেছিলেন। সেইজন্য আমি আমার পশুর প্রত্যেকটা প্রথম পুরুষ বাচ্চা সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করছি এবং আমার প্রথম ছেলেকে ছাড়িয়ে নিচ্ছি।
16. এটা এমন একটা চিহ্ন হবে যা হাত ও কপালের স্মরণ-চিহ্নের মত তোমাকে মনে করিয়ে দেবে যে, সদাপ্রভু তাঁর শক্তি দেখিয়ে মিসর থেকে আমাদের বের করে এনেছিলেন।’ ”
17. ফরৌণ যখন ইস্রায়েলীয়দের বিদায় করে দিলেন তখন ঈশ্বর তাদের পলেষ্টীয়দের দেশের মধ্য দিয়ে নিয়ে গেলেন না, যদিও সেটাই ছিল সবচেয়ে সোজা পথ। ঈশ্বর বলেছিলেন সেই দেশের মধ্য দিয়ে যাবার সময়ে যদি তারা যুদ্ধ করবার অবস্থায় পড়ে তবে হয়তো মন বদলিয়ে তারা আবার মিসর দেশে ফিরে যাবে।