16. প্রথম এবং সপ্তম দিনে তোমরা পবিত্র মিলন-সভা করবে। এই দু’দিন তোমরা নিজেদের খাবার তৈরী করা ছাড়া আর কোন কাজ করবে না।
17. খামিহীন রুটির এই যে পর্ব তা একটা চিরকালের নিয়ম হিসাবে তোমরা বংশের পর বংশ ধরে পালন করবে, কারণ এই দিনেই সৈন্যদলের মত করে আমি মিসর দেশ থেকে তোমাদের বের করে আনব।
18. তোমরা প্রথম মাসের চৌদ্দ তারিখের সন্ধ্যাবেলা থেকে শুরু করে সেই মাসের একুশ তারিখের সন্ধ্যাবেলা পর্যন্ত খামিহীন রুটি খাবে।
19. এই সাত দিন তোমাদের বাড়ীতে যেন কোন খামি না থাকে। যদি কেউ খামি-দেওয়া কোন কিছু খায়, তবে তাকে ইস্রায়েলীয় সমাজ থেকে মুছে ফেলা হবে, সে তোমাদের জাতির লোকই হোক বা অন্য জাতির লোকই হোক।
20. তোমরা যেখানেই থাক না কেন এই সাত দিন তোমরা খামি দেওয়া কোন কিছু খাবে না; রুটিও খাবে খামিহীন।”
21. তখন মোশি ইস্রায়েলীয়দের বৃদ্ধ নেতাদের ডেকে বললেন, “তোমাদের পরিবারের জন্য ভেড়ার বাচ্চা বেছে নিয়ে উদ্ধার-পর্বের উদ্দেশ্যে তা কাটবে।
22. তারপর এসোব ঝোপ থেকে এক গোছা ডাল নিয়ে বাটিতে রাখা রক্তে ডুবিয়ে সেই রক্ত দরজার চৌকাঠের দু’পাশে ও উপরের কাঠে লাগিয়ে দেবে; আর সকাল না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরের বাইরে যাবে না।
23. মিসরীয়দের আঘাত করবার সময় সদাপ্রভু যখন মিসর দেশের ভিতর দিয়ে যাবেন তখন তোমাদের দরজার চৌকাঠে রক্ত দেখে তিনি তোমাদের দরজা বাদ দিয়ে এগিয়ে যাবেন। যিনি এই ধ্বংসের কাজ করবেন তাঁকে তিনি তোমাদের বাড়ীতে ঢুকে তোমাদের আঘাত করতে দেবেন না।
24. “এই পর্ব সব সময় তোমরা ও তোমাদের বংশধরেরা একটা নিয়ম হিসাবে পালন করবে।
25. সদাপ্রভু যে দেশ তোমাদের দেবার প্রতিজ্ঞা করেছেন সেই দেশে গিয়েও তোমরা এই অনুষ্ঠান পালন করবে।
26. তোমাদের ছেলেমেয়েরা যখন তোমাদের জিজ্ঞাসা করবে, ‘এই অনুষ্ঠানের মানে কি? ’
27. তখন তোমরা বলবে, ‘এটা হল সদাপ্রভুর উদ্দেশে উদ্ধার-পর্বের উৎসর্গ, কারণ মিসর দেশে থাকবার সময় তিনি ইস্রায়েলীয়দের বাড়ীগুলো বাদ দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি মিসরীয়দের মেরে ফেলেছিলেন কিন্তু আমাদের রক্ষা করেছিলেন।’ ” এর পর ইস্রায়েলীয়েরা মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে সদাপ্রভুকে তাদের অন্তরের ভক্তি জানাল।